শ্রীধরন শ্রীরাম বাংলাদেশ দলের টেকনিক্যাল কনসালট্যান্টের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে জয়ের দেখা পেয়েছেন মাত্র দুটি ম্যাচে। সেটিও সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে। তাঁর অধীনে এশিয়া কাপের দুই ম্যাচ ও ত্রিদেশীয় সিরিজের চার ম্যাচে জয়ের দেখা পায়নি বাংলাদেশ। তবে ভারতীয় এই কোচের দাবি, ম্যাচগুলোর সৌজন্যে বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটারদের সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে পেরেছেন তিনি।
বিশ্বকাপের আগে বিষয়টিকে ইতিবাচকভাবেই নিচ্ছেন শ্রীরাম। ক্রাইস্টচার্চে আজ পাকিস্তানের বিপক্ষে ত্রিদেশীয় সিরিজে নিজেদের ম্যাচ শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলছিলেন, ‘আমি মাত্র এক মাস হলো যোগ দিয়েছি। ছেলেদের সম্পর্কে এখনো জানছি। আরও জানতে হবে। আমার মনে হয় আমি সেখানে পৌঁছাতে পারব।’
মাঠে ক্রিকেটাররা কে কোন পরিস্থিতিতে কেমন, সে সম্পর্কেও ধারণা নিচ্ছেন শ্রীরাম। কোন দলের বিপক্ষে কাকে কোন জায়গায় খেলানো উচিত, সেটা বুঝতেই তিনি একেক ম্যাচে একেক সমন্বয়ে খেলিয়েছেন। তাতে হয়তো জয় ধরা দেয়নি, কিন্তু বিশ্বকাপে ম্যাচ জেতার জন্য বাংলাদেশের প্রস্তুতিটা ভালো হয়েছে বলে বিশ্বাস টেকনিক্যাল কনসালট্যান্টের।
শ্রীরামের যুক্তি, ‘আমরা ছেলেদের সম্পর্কে তখনই জানতে পারব, যখন তাদেরকে বিভিন্ন পরিস্থিতিতে খেলিয়ে দেখব তারা কেমন করছে। আমরা এর মধ্যেই অনেক কিছু জেনেছি। প্রতিপক্ষ অনুযায়ী কেমন সমন্বয় খেলানো উচিত, সেটা নিয়ে আমাদের পরিষ্কার ধারণা আছে। যেমন ভারতের বিপক্ষে যে কম্বিনেশন, সেটা কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে থাকবে না। আবার যারা বাছাইপর্ব থেকে আসবে, তাদের বিপক্ষে ভিন্ন সমন্বয়ে খেলতে হবে। আমাদের সব বিকল্প প্রস্তুতি রাখতে হবে।’
এ ব্যাপারে অধিনায়ক সাকিব আল হাসান আর টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদের ভাবনাও নাকি একই। ‘আমরা সেরা দলটিই খেলাতে চাই। অধিনায়ক, ডিরেক্টর এবং আমি—আমাদের সবার ধারণা পরিষ্কার। আমাদের ভাবনায় দু-তিনটি কম্বিনেশন আছে। কন্ডিশন ও প্রতিপক্ষ বিবেচনায় আমরা সেভাবে দল সাজাব এবং মানিয়ে নেব।’
কিন্তু দিন শেষে তো সাফল্যের মাপকাঠি জয়ই। বাংলাদেশ দল টি–টোয়েন্টিতে সেই জয়ের দেখা কবে পাবে? এই প্রশ্নে শ্রীরামের উত্তর, ‘ম্যাচ জিততে হলে সবকিছু একত্রে ভালো হতে হবে। কেবল ওপেনিং বা পেস বোলারদের বিষয় নয়, এটা পুরো দলের ব্যাপার। পাকিস্তানের বিপক্ষে আমাদের সুযোগ ছিল। প্রথম ম্যাচে শেষ ১০ ওভারে ১০০ রান দরকার ছিল আমাদের, এই ম্যাচেও ১০ ওভারে ১০০ রান ডিফেন্ড করতে হতো। দুই ম্যাচেই অল্পের জন্য হয়নি।’