নিজে ডুবেছেন। তার আগে ডুবিয়েছেন সাকিব আল হাসানকে। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্স তথা কেকেআরের প্রাক্তন বোলিং কোচ হিথ স্ট্রিককে আইসিসি দীর্ঘ আট বছরের জন্য নির্বাসিত করার পর সামনে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জিম্বাবুয়ের প্রাক্তন পেসারের জন্যই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল আইসিসির নির্বাসনের শাস্তি মাথা পেতে নিতে হয় বাংলাদেশের তারকা অল-রাউন্ডারকে।
জিম্বাবুয়ের জাতীয় দল, আইপিএল ও আফগানিস্তান প্রিমিয়র লিগে কোচিং স্টাফের দায়িত্ব পালন করার সময় হিথ স্ট্রিক দলের অন্দমহলের খবর টাকার বিনিময়ে বুকিদের ফাঁস করে দিতেন। হিথ স্ট্রিকের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য বেটিংয়ের কাছে ব্যবহৃত হতো। এভাবেই ক্রিকেট জুয়ার সাথে পরোক্ষে জড়িয়ে যান কিংবদন্তি পেসার। যার ফলেই তাকে সব ধরণের ক্রিকেট থেকে নির্বাসিত করে আইসিসি।
জানা যাচ্ছে যে, দিল্লির দীপক আগরওয়াল নামে বুকির কাছ থেকেই হিথ স্ট্রিক প্রস্তাব পান এ ধরণের কাজের। আগরওয়াল জিম্বাবুয়েতে টি-২০ ক্রিকেট লিগ চালুর প্রস্তাব দেন স্ট্রিককে এবং ওই প্রলোভনেই প্রাথমিকভাবে পা দেন তিনি। জিম্বাবুয়ের জাতীয় দল ছাড়া আইপিএল ও আফগানিস্তান প্রিমিয়র লিগে তথ্য পাচারের কাজ করলেও বাংলাদেশ প্রিমিয়র লিগে সরাসরি দুর্নীতিমূলক কাজে জড়িত ছিলেন না স্ট্রিক। তবে তিনি পরোক্ষে বেটিং চক্রকে সাহায্য করেন বাংলাদেশেও জাল বিস্তার করতে।
আসলে আগরওয়াল হিথ স্ট্রিকের কাছ থেকে বাংলাদেশ প্রিমিয়র লিগের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের, মূলত ক্যাপ্টেন বা টিম মালিকদের নম্বর চান, যাতে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে বেটিংয়ের প্রস্তাব দিতে পারেন। মোট তিনজন ক্রিকেটারের নম্বর দিয়েছিলেন স্ট্রিক, যাদের মধ্যে একজন হলেন সাকিব, এমন তথ্য সামনে আসছে।
উল্লেখ্য, হিথ স্ট্রিক বাংলাদেশ জাতীয় দলের বোলিং কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন। ফলে দলের খেলোয়াড়ের ব্যক্তিগত ফোন নম্বর তার কাছে থাকা ছিল খুবই স্বাভাবিক বিষয।
ESPNcricinfo-র তথ্য অনুযায়ী ২০১৯ সালে সাকিবকে ২ বছরের জন্য (এক বছর সাসপেন্ডেড) নির্বাসিত করার সময় আইসিসি জানতে পারে যে, আগরওয়ালের কাছ থেকেই বেটিংয়ের প্রস্তাব পেয়েছিলেন সাকিব, যা তিনি আইসিসির কাছে জানাননি। পরে এটাও জানা যায় যে আগরওয়াল সাকিবের নম্বর পেয়েছিলেন হিথ স্ট্রিকের কাছ থেকে। সুতরাং, সাকিবের নির্বাসনের জন্য দায়ী হিথ স্ট্রিক।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস