তার সঙ্গে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের সম্পর্কের টানাপোড়েনের গল্পটা নতুন নয়। ফের সেই পুরনো গল্প ফিরে এসেছে। আসগর আফগানকে নিয়ে উত্তাল আফগান ক্রিকেট। তাকে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দিয়েছেন ক্রিকেট কর্তারা। এর আগে গত আইসিসি বিশ্বাকাপের আগে আসগরকে সরিয়ে দেয় তারা। পরে রশিদ খানের মতো অনেকেই আপত্তি তোলে।
সেই চাপেই ফের আসগরকে তিন ফরম্যাটে ক্যাপ্টেন করে আফগান বোর্ড। এবার যখন সামনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ তখন সেই পুরনো নাটক। আসগরকে আফগানিস্তানের ক্যাপ্টেন্সি থেকে বিদায় করল ক্রিকেট বোর্ড। এনিয়ে তাদের যুক্তিটাও বেশ অদ্ভূত!
এইতো সেদিন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২ ম্যাচের টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচে হারের জন্য আসগরের ভুল সিদ্ধান্তকে দায়ি করছে এসিবি। কিন্তু আফগানিস্তান দ্বিতীয় টেস্ট জিতে ড্র করে সিরিজ। সবচেয়ে বড় কথা হলো দ্বিতীয় টেস্টে আসগর দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি করেন। ১৬৪ রানে আউট না হলে হয়তো হাশমতউল্লাহ শহীদির আগেই ডাবল ইতিহাস আফগানই করতেন। সেই বীরত্বের পরও এমন সমালোচনা সইতে হলো তাকে। একইসঙ্গে প্রথম টেস্টে রশিদ খানের মতো তারকাকে ছাড়াই খেলতে হয় আফগানদের।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জেতার পর ক্যাপ্টেন হিসেবে মহেন্দ্র সিং ধোনিকে টপকে বিশ্বরেকর্ড গড়েন আসগর। অধিনায়ক হিসেবে সবচেয়ে বেশি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ জয়ে ধোনিকে পিছনে ফেলে দিয়েছেন তিনি। ধোনির নেতৃত্বে ভারতীয় দল মোট ৪১টি ২০ ওভারের ম্যাচ জিতেছে। আসগরের নেতৃত্বে আফগানিস্তান জিতেছে ৪২টি।
এ অবস্থায় শুধু একটি ম্যাচ বিবেচনায় নিয়ে এসিবির এমন সিদ্ধান্তে হতবাক অনেকেই। মজার ব্যাপার হলো শুধু টেস্ট নয়, তিন ফরম্যাট থেকেই আসগর আফগানকে সরিয়ে দিয়েছে এসিবি। আঁচ করা যাচ্ছে-যাচ্ছে যে, এমন সিদ্ধান্তের পিছনে অন্য কোনও সমীকরণ রয়েছে বোর্ডের।
এদিকে আসগরের পরিবর্তে আফগান বোর্ড টেস্ট ও ওয়ানডে ক্রিকেটে নতুন অধিনায়ক নির্বাচিত করেছে হাশমতউল্লাহ শহীদিকে। যিনি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে আফগানিস্তানের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে করেন ডাবল সেঞ্চুরি। রহমত শাহকে তার ডেপুটি। টি-টুয়োন্টির অধিনায়ক এখনো ঠিক হয়নি। তবে সহ-অধিনায়ক করা হয়েছে রশিদ খানকে!