Image default
খেলা

অধিনায়ক হতে না–হতেই খোঁচা খেলেন পন্ত

কয়েক বছর ধরেই আইপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজি দিল্লি ক্যাপিটালস অধিনায়ক হিসেবে তরুণদের ওপর আস্থা রাখছে। দলে রবিচন্দ্রন অশ্বিন, অজিঙ্কা রাহানে, শিখর ধাওয়ানদের মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটার থাকার পরও তরুণ শ্রেয়াস আইয়ারের ওপর আস্থা রেখেছিল দিল্লি ম্যানেজমেন্ট। সে সিদ্ধান্তের সবচেয়ে বড় সুফলটাও পেয়ে গিয়েছিল আরেকটু হলে। গতবার দলকে ফাইনালে তুলেছিলেন শ্রেয়াস। এবার চোটের কারণে এই তরুণ অধিনায়ক আইপিএল খেলতে পারছেন না। শ্রেয়াসের জায়গায় যথারীতি বয়স্ক কাউকে দায়িত্ব না দিয়ে এক তরুণের দিকেই তাকিয়েছে দিল্লি ম্যানেজমেন্ট।

কয়েক মাস ধরে দুর্দান্ত ক্রিকেট খেলে ক্রিকেটভক্তদের মন জয় করে নেওয়া ঋষভ পন্তের হাতেই এখন দিল্লির দায়িত্ব। এ কয়েক দিন বিভিন্ন কারণে প্রশংসার বন্যায় ভেসে যাওয়া পন্ত অধিনায়ক হিসেবেও ভালো করবেন, প্রত্যাশা দিল্লির। কিন্তু দুই ম্যাচ যেতে না যেতেই মুদ্রার অপর পিঠ দেখে ফেললেন পন্ত। সমালোচনা শুরু হয়েছে তাঁর অধিনায়কত্ব নিয়ে। পন্তও হয়তো বুঝতে পেরেছেন, আইপিএলে অধিনায়ক হিসেবে থাকতে হলে প্রতিনিয়ত জবাবদিহির মধ্যেই থাকতে হবে তাঁকে, ভালো করতে হবে প্রতিনিয়ত।

রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে গত রাতে মাঠে নেমেছিল পন্তের দিল্লি। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত উত্তেজনা ধরে রেখে দক্ষিণ আফ্রিকার অলরাউন্ডার ক্রিস মরিসের ব্যাটে চড়ে ৩ উইকেটের জয় পেয়েছে রাজস্থান। এই ম্যাচে পন্তের একটা সিদ্ধান্ত নিয়ে কাটাছেঁড়া হচ্ছে বেশ। অভিজ্ঞ স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে দিয়ে মাত্র তিন ওভার বল করিয়েছেন পন্ত। বাকি এক ওভার কেন করাননি, সেটা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ভারতের সাবেক পেসার, মুম্বাই ইন্ডিয়ানস, দিল্লি ডেয়ারডেভিলস, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু, সানরাইজার্স হায়দরাবাদের মতো ফ্র্যাঞ্চাইজিতে খেলা দিল্লির ছেলে আশিস নেহরা।

৩ ওভারে মাত্র ১৪ রান দিয়েছিলেন অশ্বিন। আঁটসাঁট বোলিংয়ে রাজস্থানের ব্যাটিংয়ে লাগাম টেনে ধরেছিলেন। হয়তো শেষ ওভারেও কম রানই দিতেন, আর সেটা হলে হয়তো দিল্লিকে ম্যাচ হারতে হতো না। ১১ ওভারের মধ্যে অশ্বিনের তিন ওভার শেষ করে বাকি নয় ওভার মূলত বিদেশিদের দিয়েই করিয়েছেন পন্ত। বল করেছেন টম কারেন, মার্কাস স্টয়নিস, কাগিসো রাবাদা, ক্রিস ওকস। নেহরা বুঝতে পারেননি পন্তের এই বিদেশি-নির্ভরতার কারণ কী হতে পারে।

যেখানে ক্রিজে ডেভিড মিলার ও রাহুল তেওয়াতিয়ার মতো দুজন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ছিল, তখন অশ্বিনকে বসিয়ে রেখে স্টয়নিসদের দিয়ে বল করানো ভালোভাবে নেননি নেহরা। স্টয়নিসের ওই এক ওভারে টানা তিন চার মেরে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন দক্ষিণ আফ্রিকার অলরাউন্ডার মিলার। নেহরার আপত্তির জায়গাটা এখানেই, ‘রবিচন্দ্রন অশ্বিন মাত্র তিন ওভার বল করেছে। ১৪৮ রান তাড়া করতে গিয়ে একপর্যায়ে ৪২ রানের মাথায় ৫ উইকেট হারিয়েছিল রাজস্থান। ক্রিজে তখন মিলার আর তেওয়াতিয়ার মতো দুই বাঁহাতি। এই অবস্থায় অশ্বিনকে ব্যবহার করলে ভালো হতো।’

দুই বাঁহাতির জায়গায় যদি ক্রিজে কোনো ডানহাতি ব্যাটসম্যান থাকতেন, তাহলে পন্তের সিদ্ধান্ত যুক্তিযুক্ত হতো বলে মনে করছেন নেহরা, ওই পর্যায়ে স্টয়নিসকে বল করতে না দিয়ে অশ্বিনকে বল করতে দিলে ভালো হতো। এমন যদি হতো, না ক্রিজে রিয়ান পরাগ কিংবা সঞ্জু স্যামসনের মতো ডানহাতি ব্যাটসম্যান আছে, প্রতি ওভারে ৯-১০ করে লাগবে, তখন যদি আপনি দুই-তিন ছক্কা খাওয়ার ভয়ে অশ্বিনকে বসিয়ে রাখতেন, তাহলে না হয় বুঝতাম।

Related posts

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য শ্রীলঙ্কার স্কোয়াড ঘোষণা করা হয়েছে

News Desk

রাহুল দ্রাবিড় -শুধু ক্রিকেটে নই ব্যাক্তি হিসাবে অসাধারণ

News Desk

জাস্টিন হারবার্টকে অবশ্যই চার্জারদের নতুন দর্শনের সাথে মানিয়ে নিতে হবে যে পিছিয়ে যাওয়া আর অপ্রচলিত নয়

News Desk

Leave a Comment