২৩ রানের গণ্ডি পার হতে পারলেন না সাব্বির রহমান। চলমান ঢাকা প্রিমিয়াম ডিভিশন ক্রিকেট লিগে নিজেদের প্রথম ম্যাচে লিজেন্ড অব রূপঞ্জের হয়ে মাঠে নামার সুযোগ পাননি বৃষ্টির কারণে। দ্বিতীয় ম্যাচে ২৩ রান করে আউট হন। আজ খেলাঘর সমাজ কল্যাণ সমিতির বিপক্ষেও আটকে গেছেন ২৩ রানে। ধারাবাহিকভাবে ব্যর্থ সাব্বির ইনিংস বড় করতে পারছেন না।
একই অবস্থা টেস্ট দলের ওপেনার সাদমান ইসলামেরও। ব্রাদার্স ইউনিয়নের সঙ্গে ৭ রান করে আউট হওয়ার পর খেলাঘরের বিপক্ষে তার ব্যাট থেকে আসে ৮ রান।
তবে চোখ ধাঁধানো সব শট খেলে মিরপুরে ঝড় তোলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। জাতীয় দলে ব্যাট হাতে দায়িত্ব নিতে ডিপিএলে উপরের দিকে ব্যাটিং করছেন তিনি। আজ শুরুতে বল হাতে ১ উইকেট নেওয়ার পর ব্যাটিংয়ে নেমে ৪৫ বলে ৫৪ রানের ইনিংস খেলেন তিনি।
মিরাজের অলরাউন্ডিং নৈপুণ্যে আসরে নিজেদের প্রথম জয়ের দেখা পেল খেলাঘর। আগের দুই ম্যাচে হেরে পয়েন্ট টেবিলের একদম তলানিতে ছিল তারা। ৭ উইকেটে ম্যাচ হেরে জয়ের স্বাদ অধরাই থেকে গেল সাব্বির-সাদমানদের লিজেন্ড অব রূপগঞ্জের। প্রথম ম্যাচ বৃষ্টিতে পণ্ড হওয়ার পর টানা দুই ম্যাচ হারতে হলো তাদের।
তৃতীয় রাউন্ডের শুরুর ম্যাচে সকালে টস জিতে খেলাঘরকে আগে ব্যাটিংয়ে পাঠায় খেলাঘর। ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি রূপগঞ্জের। ধারাবাহিকভাবে ব্যর্থ সাদমান মাসুম খানের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন ৮ রান করে। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট হিসেবে তার ব্যাটিংয়ের ধরণ ছিল একেবারেই হতশ্রী। আউট হওয়ার আগে ২২টি বল খেলেন তিনি।
ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারের প্রথম বলে সাদমানকে ফেরানোর এক বল পরেই রূপগঞ্জের অধিনায়ক নাঈম ইসলামকে খালি হাতে প্যাভিলিয়নের পথ দেখান মাসুম। আরেক ওপেনার আজমির আহমেদ ২৮ রান করে বিদায় নিলে দলীয় সংগ্রহে ৪৫ তার তুলতেই ৩ উইকেট হারিয়ে বসে রূপগঞ্জ। সেখান থেকে দলের হাল ধরেন আল-আমিন জুনিয়র।
সাব্বিরের সঙ্গে ৫৫ রানের পার্টনারশিপ করেন। তবে এদিন উইকেটে থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি সাব্বির। আগের ম্যাচের মতো সমান ২৩ রান করে আউট হন তিনি। তাকে ফেরান জাতীয় দলের সতীর্থ মিরাজ। টি-টোয়েন্টিতে তার ব্যাটিংও সাব্বির সুলভ ছিল না। পরে জাকের আলীর সঙ্গে ৩৬ রানের জুটিতে ব্যক্তিগত ফিফটি তুলে নেন আল-আমিন। আউট হন ৫১ রান করে। ৪২ বলের ইনিংসটি সাজান ৬টি চারের মারে।
শেষদিকে জাকেরের অপরাজিত ১৯ রানের উপর ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে স্কোর বোর্ডে ১৩৫ রানের সংগ্রাহ পায় রূপগঞ্জ। জয়ের জন্য খেলাঘরের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৩৬ রানের।
এই টার্গেট টপকাতে নেমে শুরুতেই বিপাকে পড়ে খেলাঘর। দুই ওপেনার ইমতিয়াজ হোসেন ও সাদিকুর রহমান সমান ৯ রান করে ফিরে যান দলীয় ২৫ রানে। এরপর দলের হাল ধরেন মিরাজ ও জহুরুল ইসলাম। তৃতীয় উইকেট জুটিতে দুজন যোগ করেন ৯৭ রান। ওখানেই নির্ধারণ হয়ে যায় ম্যাচের ভাগ্য। এর ফাঁকে ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ফিফটি তুলে নেন মিরাজ। পরে মুক্তার আলীর বলে আউট হয়ে ফেরেন ৫৪ রানে। ৪৫ বলের ইনিংসটি সাজান ৬টি চার ও ১টি ছয়ের মারে।
মিরাজের আউটের পর শেষ ওভারে ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ হয়। সেখানে দলকে বিপদে পড়তে দেননি অধিনায়ক জহুরুল ইসলাম। সোহাগ গাজীর বলে পরপর দুটো বাউন্ডারি মেরে ম্যাচ জেতানোর পাশাপাশি ব্যক্তিগত ফিফটি তুলে নেন তিনি। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ৫৩ রানে। এতে ৭ উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে খেলাঘর সমাজ কল্যাণ সমিতি।