অস্ট্রেলিয়ার সব চাওয়াই নতমস্তকে স্বীকার করে নিয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। অস্ট্রেলিয়া চায়নি, বায়োবাবলের বাইরে ন্যুনতম কারও সংস্পর্শে আসতে। তাই বিমানবন্দর থেকে নামার পরই সরাসরি টিম হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয় তাদের।
এছাড়া সিরিজ চলাকালীন সময়ে দুই দলের খেলোয়াড়-স্টাফ-কর্মকর্তা ছাড়া অন্য কারও আসা-যাওয়াও ছিল কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। এমনকি অস্ট্রেলিয়ার বেঁধে দেয়া কোয়ারেন্টাইনবিধির বাইরে চলে যাওয়ায় মুশফিকুর রহীমের মতো দলের গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটারকেও সিরিজটিতে নিতে পারেনি বাংলাদেশ।
এবার আসছে নিউজিল্যান্ড। তাদের জন্যও কি একইরকম ব্যবস্থা থাকবে? নাকি আলাদা কিছু করা হবে? বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন জানালেন, ঠিক অস্ট্রেলিয়ার মতো ওত সুযোগ-সুবিধা পাবে না নিউজিল্যান্ড।
নিজামউদ্দিন চৌধুরীর ভাষায়, ‘একটা আলাদা বিষয় তো থাকবেই। যেহেতু অস্ট্রেলিয়া চাটার্ড ফ্লাইটে এসেছিল, তারা কমার্শিয়াল ফ্লাইট বা রেগুলার ফ্লাইট ব্যবহার করেনি। এ জন্যই তারা চেয়েছিল যেন ন্যুনতম মানুষের সংস্পর্শে থেকে বিমানবন্দর থেকে হোটেলে আসতে। যেহেতু নিউজিল্যান্ড কমার্শিয়াল ফ্লাইটে আসছে, তাদের জন্য বিষয়টা এরকম প্রযোজ্য হবে না। এরপরও আমাদের চেষ্টা থাকবে যতটা সম্ভব মিনিমাম পাবলিক কন্টাক্টের মাধ্যমে হোটেলে নিয়ে আসা যায়।
নিউজিল্যান্ডের পক্ষ থেকে কোনো চাহিদাপত্র পেশ করা হয়েছে কী? এমন প্রশ্নে নিজামউদ্দিন সুজন বলেন, ‘যেহেতু ব্যাক টু ব্যাক সিরিজ হচ্ছে, সেহেতু তারা তো চাইবেই অস্ট্রেলিয়া যেমন সুযোগ-সুবিধা পেয়েছে তাদেরকেও যেন দেওয়া হয়। আমাদেরও চেষ্টা থাকবে যতটুকু সম্ভব বিষয়টা নিশ্চিত করা যায়।
শুধু বিদেশি দলের জন্য নয়, করোনার এই সময়ে নিজেদের দলের খেলোয়াড়দের জন্যও স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি আলাদাভাবে দেখার দরকার আছে, মনে করেন বিসিবি সিইও।তিনি যোগ করেন, ‘স্বাস্থ্য নিরাপত্তা ইস্যুটা কিন্তু শুধু অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড তথা বিদেশি দলের জন্য না, আমাদের খেলোয়াড়দের নিরাপত্তার বিষয়ও আছে। আমাদের যে কনসার্ন আমাদের প্লেয়ারদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সেটা নিশ্চিতের জন্য হলেও এমন কিছু করতে হবে। এ বিষয়গুলো মাথায় রেখেই আমরা কাজ করছি এবং পরিকল্পনা করেছি।
সূত্র : জাগো নিউস ২৪