জমে উঠেছে আইপিএলের মহাযজ্ঞ। অথচ দেশে দৈনিক সংক্রমণের হার প্রতিদিনই টেক্কা দিচ্ছে গতদিনকে। শনিবার সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী গত ২৪ ঘন্টার দেশে কোভিড সংক্রামিত মানুষের সংখ্যাটা ঘোরাফেরা করছে সাড়ে তিন লক্ষের আশেপাশে। দেশে যখন মৃত্যুমিছিল, দেশজুড়ে অক্সিজেনের আকাল, এমন সময় ইন্ডিয়ান প্রিমিয়র লিগ নামক কোটিপতি লিগের যৌক্তিকতা কতোটা। এমনই প্রশ্ন চর্চার শিরনামে। দেশের এহেন দুর্বিসহ পরিস্থিতির মধ্যে অবিলম্বে আইপিএল বন্ধেরও দাবি উঠেছে বিভিন্ন মহলে।
এবার সেই দাবিতে ঘৃতাহুতি দিয়ে দেশের সাম্প্রতিক কোভিড পরিস্থিতির মধ্যে আইপিএল আয়োজন নিয়ে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলেন অ্যাডাম গিলক্রিস্ট। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিপর্যস্ত ভারতের পরিস্থিতি আঁচ করেও আইপিএলের সঙ্গে যুক্ত থাকা প্রাক্তন ক্রিকেটার, ক্রিকেট বিশ্লেষক কিংবা বিশেষজ্ঞরা যখন প্রশ্ন তুলতে অপারগ, ঠিক সেই সময় প্রাক্তন অজি ক্রিকেটারের প্রশ্ন তোলা যুক্তিসঙ্গত বৈকি। তবে এমনটা নয় কোভিডের বাড়বাড়ন্তের মধ্যে ভারতের মাটিতে আইপিএলের বিরোধীতা করেছেন গিলক্রিস্ট। আসলে গিলি দেশের মানুষের কাছেই প্রশ্ন রেখে ছেড়ে দিয়েছেন বিষয়টি।
টুইটারে শনিবার গিলক্রিস্ট লেখেন, ‘যে হারে কোভিড সংক্রমণ উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে ভারতবর্ষের জন্য আমার শুভেচ্ছা রইল। এর মধ্যে সেখানে আইপিএল অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এটা কী যথাযথ? নাকি এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে প্রত্যেক সন্ধেয় দেশের মানুষের দৃষ্টি ঘোরানোর প্রয়োজন রয়েছে? আপনাদের মত যাই হোক, আমার প্রার্থনা আপনাদের সঙ্গে রয়েছে।’ গিলক্রিস্টের বক্তব্যে পরিষ্কার পুরোপুরি বিরোধীতায় সরব না হলেও কৌশলে গিলি বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি এই অবস্থায় আইপিএলের স্বপক্ষে খুব একটা নন।
তবে গিলির টুইটের প্রত্যুত্তরে বেশিরিভাগই দৃষ্টিভঙ্গি ঘোরানোর পক্ষেই সায় দিয়েছেন। জনৈক ক্রিকেট ফ্যান লিখেছেন, ‘যা পরিস্থিতি তাতে পরিবারের সঙ্গে বাড়ি বসে ম্যাচ দেখাই এখন একমাত্র ইতিবাচক।’ কেউ লিখেছেন, ‘নিশ্চয় স্যার। এটা অবশ্যই কোভিড থেকে মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি ঘোরানোর জন্য। যাতে মানুষ বাড়ি বসে কয়েকঘন্টা ধরে কিছু উপভোগ করতে পারে।’ অনেকে লিখেছেন, ‘এই পরিস্থিতিতে আইপিএল বিনোদনের ব্যবস্থা করে দিচ্ছে। আমরা অন্তত কিছু সময়ের জন্য কোভিড ভুলে থাকতে পারছি।’ অনেকে আবার কোভিড আবহে আইপিএল যাতে নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয়, সেই প্রত্যাশা রেখেছেন।