দুশমন্ত চামিরা বল হাতে আগুন ঝরাচ্ছেন। তাতে পুড়ছেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। মিরপুরে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওযানডেতে লঙ্কান এই ডানহাতি এই পেসারকে খেলতে গিয়ে রীতিমত নাভিশ্বাস উঠছে স্বাগতিকদের। ২৮ রানেই তারা হারিয়ে বসেছে ৩ উইকেট।
চামিরার সর্বশেষ শিকার বাংলাদেশ অধিনায়ক তামিম ইকবাল। যিনি বেশ দেখেশুনে খেলছিলেন, ৯ রানে ২ উইকেট হারানো দলকে লড়াইয়ে ফেরাতে যথাসাধ্য চেষ্টা করছিলেন।
সেই চেষ্টা থামলো চামিরার অফস্ট্যাম্পের বাইরে দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে। অনেকটা ইয়র্কার লেহ্ন ধরনের ডেলিভারিতে তামিম ব্যাট পেতে দিয়েছিলেন, সেই ব্যাট মাটিতে আঘাত হানে। আবেদন করেন বোলার, আঙুল তুলে দেন আম্পায়ার।
তামিমের ধারণা ছিল, বলটি তার ব্যাটে কোনোমতেই লাগেনি। আওয়াজ হয়েছে মূলত ব্যাট মাটিতে হিট করায়। তাই রিভিউ নিয়ে নেন সঙ্গে সঙ্গে। কিন্তু রিভিউয়ে স্নিকোমিটার দেখায়, আলতো করে ব্যাটের গা ছুুঁয়ে গেছে বল। ফলে আম্পায়ারের আউটের সিদ্ধান্তই বহাল থাকে।
২৯ বলে ১৭ রানে থাকা তামিম ওই সিদ্ধান্ত তারপরও মানতে পারেননি। মাঠেই অসন্তোষ প্রকাশ করেন। পরে বের হয়ে যাওয়ার সময় চিৎকার করে কিছু বলতে ও মাথা নাড়তে দেখা যায় টাইগার অধিনায়ককে।
তামিমের আগে নাইম শেখ আর সাকিব আল হাসানকেও তুলে নিয়েছেন চামিরা। লিটন দাসের অব্যাহত বাজে ফর্মে ‘আলোচিত’ নাইম এই ম্যাচের একাদশে সুযোগ পেয়েছেন। কিন্তু ওয়ানডে ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো ব্যাট হাতে নিয়ে দিলেন চরম ব্যর্থতার পরিচয়। ২ বলে মাত্র ১ রান করে দুশমন্ত চামিরার বলে স্লিপে ক্যাচ হয়েছেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে শুধু নাইম নন, তিন নম্বরে ফেরার পর আরও একবার ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। আগের দুই ম্যাচে ১৫ আর শূন্যের পর আজ ৪ রানে সাজঘরের পথ ধরেছেন তিনি। সাকিবও আউট হয়েছেন চামিরার বলে, পুল খেলতে গিয়ে স্কয়ার লেগে হয়েছেন রমেশ মেন্ডিসের দুর্দান্ত ক্যাচ।
২৮৭ রানের বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ১২ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ৩৮ রান। মুশফিকুর রহীম ১১ আর মোসাদ্দেক হোসেন ৪ রানে অপরাজিত আছেন।
এর আগে তিনবার জীবন পেয়ে কুশল মেন্ডিস সেঞ্চুরি তুলে নেন। তার ১২০ রানের ইনিংসে ভরে করেই ৬ উইকেটে ২৮৬ রানের বড় সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছে শ্রীলঙ্কা।
তিন ম্যাচ জিতে লঙ্কানদের হোয়াইটওয়াশ করতে এখন বাংলাদেশের সামনে লক্ষ্য ২৮৭ রানের। কিন্তু মিরপুরের মাঠে স্বাগতিকরা ২৫০ রানের বেশি তাড়া করে জিতেছে মাত্র দুইবার। যার সবশেষটি ২০১৫ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে।