কাতার বিশ্বকাপের এখন নক আউট পর্ব চলছে। এর মাঝেই ২০২৬ বিশ্বকাপ নিয়ে চিন্তায় পড়ে গল বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা। যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো এবং কানাডায় অনুষ্ঠিতব্য বিশ্ব ফুটবলের এই মহা আসরে খেলবে ৪৮ দল। কিন্তু কোন ফরম্যাটে সেই বিশ্বকাপ খেলা হবে, সেটা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
ফিফা ভেবেছিল, তিনটি করে দল নিয়ে ১৬টি গ্রুপ তৈরি করা হবে। প্রতি গ্রুপ থেকে দুটি করে দল নক আউটের যোগ্যতা অর্জন করবে। তবে চলতি কাতার বিশ্বকাপে একের পর এক অঘটন দেখে সেই প্রস্তাব নিয়ে আপাতত বিতর্ক তৈরি হয়েছে। কারণ এ ক্ষেত্রে ভালো খেলেও একটি দল আসর থেকে ছিটকে যেতে পারে। শুধু তা-ই নয়, নক আউটে ওঠার জন্য ফিক্সিংও হতে পারে। তাই ২০২৬ বিশ্বকাপের ফরম্যাট নির্ধারণ করতে জটিলতায় পড়ে গেছে ফিফা।
১৯৮৬ সাল থেকে চলে আসা নিয়ম অনুযায়ী, গ্রুপ পর্বের শেষ রাউন্ডে চারটি দল একই সময়ে ম্যাচ খেলতে নামে। এতে কোনো দলই বাড়তি সুবিধা পায় না। কিন্তু গ্রুপে তিনটি দল থাকলে শেষ রাউন্ডে সব দল একই সময়ে ম্যাচ খেলতে পারবে না। এ ক্ষেত্রে শেষ রাউন্ডের ম্যাচে অংশগ্রহণকারী দুটি দল পরের রাউন্ডে যাওয়ার জন্য নিজেদের সুবিধামতো খেলতে পারে। ফলে ফিক্সিংয়ের আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
আর্সেন ওয়েঙ্গার গতকাল রবিবার সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘কোন ফরম্যাটে খেলা হবে এখনো ঠিক হয়নি। তিন দলের ১৬টি গ্রুপ বা চার দলের ১২টি গ্রুপ হতে পারে। অথবা চার দলের ১২টি গ্রুপ করে দুটি অর্ধে ভাগ করে দেওয়া হতে পারে। সেটা আমি ঠিক করতে পারি না। ফিফা কাউন্সিল ঠিক করবে। আশা করি আগামী বছরই জানিয়ে দেওয়া হবে। ২০২৬ সালের বিশ্বকাপে আমরা আরো ১৬টা দুর্দান্ত দলকে দেখতে পাব। প্রতিযোগী দলের সংখ্যা বাড়লে অনেক দেশই আগ্রহী হবে। তারা নিজেদের ঘরোয়া ফুটবলের মান বাড়ানোর চেষ্টা করবে