সোমবার নেদারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ শুরু হচ্ছে। শুরুর প্রতিপক্ষ তুলনামূলক সহজ হলেও কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সে নির্ভার থাকা যাচ্ছে কই? যদিও অধিনায়ক সাকিব আল হাসান দাবি করেছেন, এই বিশ্বকাপে তার দল এমন কিছু করে দেখাবে, যা বাংলাদেশ আগে কখনও করতে পারেনি।
২০০৭ সালে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলে বাংলাদেশ। ওই আসরে ক্যারিবীয়দের হারিয়ে হইচই ফেলে দেওয়া লাল-সবুজ জার্সিধারীরা এই মঞ্চে সুপার টুয়েলভে কখনোই জয়ের মুখ দেখেনি। এমন পরিসংখ্যানে বাংলাদেশকে নিয়ে খুব বেশি প্রত্যাশা করা বেশ কঠিন। তবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের অতীত অভিজ্ঞতা সুখকর না হলেও বাংলাদেশ অধিনায়কের নিজেদের সামর্থ্যের ওপর আস্থা রয়েছে। রবিবার ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক সাকিব আল হাসান বলেছেন, ‘এটা এমন একটা ফরম্যাট যেখানে আমরা কখনো ভালো করিনি। বিশ্বাস করি এই বিশ্বকাপে আমাদের এমন কিছু করার সামর্থ্য আছে, যেটা এর আগে কোনও বিশ্বকাপে করিনি।’
সাকিব ২০০৭ সাল থেকে সব বিশ্বকাপেই খেলেছেন। তারপরও দলসহ তিনি নিজে ব্যর্থতার বৃত্তেই ঘুরপাক খাচ্ছেন। ক্যারিয়ারের শেষলগ্নে এসে সাকিবের জন্য চ্যালেঞ্জের অনেক কিছুই থাকার কথা। কিন্তু তিনি সেসব পাত্তা দিচ্ছেন না, ‘এটাই একটা মজার বিষয় আপনার কথামতো একটা চ্যালেঞ্জ আছে। যদিও আমি কখনও এরকম চিন্তা করিনি যে আমার একটা চ্যালেঞ্জ আছে বা আমার কিছু প্রমাণ করতে হবে। এখানে আমরা একটা বিশ্বকাপ খেলতে এসেছি, এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
সোমবার হোবার্টের বেলেরিভ ওভালে বাংলাদেশ প্রথম ম্যাচ খেলবে। শুরুতে শ্রীলঙ্কাকে পাওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও শেষ পর্যন্ত নেদারল্যান্ডই সঙ্গী হয়েছে। সহযোগী সদস্য দেশকে প্রথম ম্যাচে পাওয়ার পর সামাজিক মাধ্যমগুলোতে ভক্তদের মধ্যে স্বস্তির সুবাতাস। তবে এই স্বস্তিকে মিডিয়ার তৈরি হিসেবে দেখছেন সাকিব, ‘আমাদের দলের যে ধরনের চিন্তাভাবনা, কখনও এভাবে প্রস্তুতি নেই না এবং আমার মনেও হয় না পৃথিবীর কোনও দল এভাবে চিন্তা করে। সবসময় চেষ্টা করে দলকে জেতানোর জন্য। আমাদের দলের ভেতর ওরকম কোনও অনুভূতি নাই। সেটা যদি শ্রীলঙ্কা কিংবা ওয়েস্ট ইন্ডিজ আসতো, তাহলেও যে প্রস্তুতি নিতাম, অন্যান্য দলের সঙ্গেও একই প্রস্তুতি নেবো। আপনি যেটা বললেন স্বস্তি কিনা, দেশে ওরকম একটা আলোচনা চলছে। এটা অবশ্যই মিডিয়ার তৈরি করা।’
সাকিব এক্ষেত্রে নেদারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচটিকে অন্য সব ম্যাচের মতোই দেখছেন, ‘দেখুন এখানে বিশ্বকাপে আমাদের যে পাঁচটা ম্যাচ আছে। এই পাঁচটা ম্যাচের প্রস্তুতি নিয়ে এসেছি। এখানে যার সঙ্গেই খেলি, প্রস্তুতি একই থাকবে। এবং সেটাই থাকা উচিত। সেটা নেদারল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইন্ডিয়া, পাকিস্তান অথবা জিম্বাবুয়ের সঙ্গে একই থাকবে। প্রস্তুতিতে বদল আসবে না, চিন্তাতেও কোনও পরিবর্তন আসবে না। তারা কিন্তু কোয়ালিফাই করেই এসেছে। এই পারসেপশনটা হয়তো আপনারাই তৈরি করেছেন যে নেদারল্যান্ড আসাতে বাংলাদেশ দল স্বস্তিবোধ করছে।’