Image default
খেলা

আজই সিরিজ নিশ্চিত করতে চান বাংলাদেশের টাইগাররা

রঙিন পোশাকে রঙিন বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের শুরুটা দারুণ হয়েছে টাইগারদের। আইসিসি বিশ্বকাপ সুপার লিগের ম্যাচ হওয়ায় সিরিজের প্রতিটা ম্যাচই তামিমদের জন্য সমান গুরুত্বপূর্ণ। আজ দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হবে জিম্বাবুয়ে ও বাংলাদেশ। হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে বেলা দেড়টায় শুরু হবে লড়াই।

এ ম্যাচটা জিতে আজই সিরিজ নিশ্চিত করার ব্রত নিয়েই মাঠে নামবেন টাইগাররা। অন্যদিকে জিম্বাবুয়ের লক্ষ্য থাকবে সিরিজ বাঁচানো। জিম্বাবুয়ে যেন বাংলাদেশের ‘প্রিয়’ প্রতিপক্ষ। এই দলটার বিপক্ষে সবশেষ খেলা ১৭ ম্যাচেই অপরাজিত রয়েছেন টাইগাররা। ৮ বছর পর জিম্বাবুয়ে সফরে যাওয়া তামিমরা এবার রীতিমতো ‘ভয়ঙ্কর’ দল। যদিও প্রথম ওয়ানডেতে ব্যাটিংয়ের শুরুটা তাদের ভালো ছিল না। তামিম তো রানের খাতাই খুলতে পারেননি। টপ অর্ডারের আরেক ব্যাটসম্যান সাকিবের ব্যাটও ঠিক হাসছে না।

তিনি ১৯ রান করলেও দলের প্রত্যাশা তার কাছে আরও বেশি। এ ছাড়া মিডল অর্ডারের মিঠুন-মোসাদ্দেকও নিজেদের মেলে ধরতে পারেননি। তবে লিটনের সেঞ্চুরি আর মাহমুদউল্লাহ-আফিফ-মিরাজদের ছোট ছোট ইনিংস দলকে ভালো একটা স্কোর এনে দিয়েছিল। বোলাররা তাদের কাজটা ঠিকঠাক করেছেন। বিশেষ করে আপন আলোয় উজ্জ্বল ছিলেন সাকিব আল হাসান।

এ ছাড়া শুরুর ধাক্কাটা দিয়েছিলেন সাইফউদ্দিন-তাসকিন। গতকাল বাংলাদেশের অধিনায়ক তামিম ইকবাল তাই বোলারদের পারফরম্যান্সে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে। তবে ব্যাটসম্যানদের বিশেষ করে টপ অর্ডারের কাছে তার যে প্রত্যাশা রয়েছে সেটাও বলেছেন, ‘টপ অর্ডার থেকে আমি বা সাকিব যদি আরেকটু বড় ইনিংস খেলতে পারি, তা হলে দল হয়তো এমন অবস্থায় পড়বে না। চেষ্টা করব যে পরের ম্যাচে এমন সুযোগ এলে কাজে লাগাতে।’

জিম্বাবুয়ে সফরে চোটজর্জর দল নিয়ে খেলছে বাংলাদেশ! ডান হাঁটুর ব্যথার কারণে তামিমকে টেপ পেঁচিয়ে খেলতে হচ্ছে। প্রস্তুতি ম্যাচে গোড়ালিতে চোট পাওয়ার কারণে মোস্তাফিজের প্রথম ওয়ানডেতে খেলা হয়নি। এ ছাড়া প্রথম ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান লিটনও হাতে ব্যথা পেয়েছেন। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে তামিম-লিটন খেললেও মোস্তাফিজের বিষয়ে নিশ্চিত করে বলতে পারেননি ওয়ানডে অধিানয়ক, ‘মোস্তাফিজেরটা এখনো একটু কোয়েশ্চেন মার্ক আছে। এখন পর্যন্ত ফিফটি-ফিফটি।’

বাংলাদেশ দল সাধারণত ‘উইনিং কম্বিনেশন’ ভাঙে না। প্রথম ম্যাচে রেকর্ড ১৫৫ রানে জিতেছে সফরকারীরা। দ্বিতীয় ম্যাচেও প্রথম ম্যাচের একাদশ নিয়েই মাঠে নামার সম্ভাবনাই বেশি। তবে মোস্তাফিজকে যদি শেষ পর্যন্ত খেলানো হয় তবে শরিফুল ইসলামকে বিশ্রাম দেওয়া হবে। এ ছাড়া বিশ্রাম দেওয়া হতে পারে চার নম্বর পজিশনে ব্যাটিং করা মিঠুনকে।

শেষ পাঁচ ম্যাচে একটা ফিফটি (৭৩*) ছাড়া আর বলার মতো কোনো ইনিংস নেই তার। মিঠুনকে যদি বিশ্রাম দেওয়া হয় সে ক্ষেত্রে দুটো অপশন হাতে রেখেছে টিম ম্যানেজমেন্ট। এক. ওয়ানডাউনে নাঈম শেখকে খেলানো। এর অর্থ, চারে তখন ব্যাট করবেন সাকিব। দুই. ছয় থেকে চার নম্বর পজিশনে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে সুযোগ দেওয়া। মাহমুদউল্লাহর পজিশনে তখন নুরুল হাসান সোহানকে খেলানোর সম্ভাবনাই বেশি।

Related posts

অ্যারন বিচারক একটি ঘনিষ্ঠ কলের পরে তার ইয়াঙ্কিস ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো বহিষ্কৃত হন

News Desk

মনে রাখার জন্য একটি জায়ান্ট কোচিং ইতিহাস পাঠ

News Desk

আর্চি ম্যানিং বলেছেন আর্চির নাতির জন্য কাউবয়দের ইচ্ছা ‘নিয়ন্ত্রণের বাইরে’

News Desk

Leave a Comment