ম্যাচের যে পরিস্থিতি ছিল, তাতে হেরে যাওয়াও সম্ভব ছিল বাংলাদেশের। কারণ, ২১ রানে দুই উইকেট পড়ার পর বাংলাদেশ ব্যাটিংয়ের হাল ধরা সাকিব আল হাসান এবং শেখ মেহেদী হাসানের হাত ধরে কিছুটা এগুলেও অ্যান্ড্রু টায়ে, অ্যাডাম জাম্পা এবং অ্যাস্টন অ্যাগারের আঘাতে উল্টো বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপই ক্ষত-বিক্ষত হতে শুরু করেছিল।
৬৭ রানে ৫ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর বাংলাদেশের ক্রীড়াপ্রেমীরা প্রমাদ গুনতে শুরু করে দিয়েছিল, পরাজয়টা বুঝি এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। কিন্তু দুই তরুণ ব্যাটসম্যান আফিফ হোসেন এবং নুরুল হাসান সোহানের বুকে যে অসম সাহস এসে ভর করেছিল, তাতে করে অসিরাই উল্টো পুড়ে ছাই হয়ে গেলো।
বিশেষ করে আফিফ হোসেনের দৃঢ়তার সামনে উড়ে গেলো অসি বোলিং লাইনআপ। মিচেল স্টার্ক, জস হ্যাজলউড, অ্যাস্টন অ্যাগার- এরা সব সময়ই বিশ্বমানের বোলার। কিন্তু আফিফ হোসেনকে দেখে মনে হয়েছে পাড়া-মহল্লার বোলারদের সামনে বুক চিতিয়ে ব্যাট করছে।
৩১ বল খেললেন তিনি। রান করলেন অপরাজিত ৩৭। ৫৬ রানের জুটি গড়েন তিনি নুরুল হাসান সোহানের সঙ্গে। বাংলাদেশকে ম্যাচ জিতিয়েই মাঠ ছেড়ে গেলেন আফিফ হোসেন ধ্রুব। যে কারণে ম্যাচ সেরার পুরস্কারের জন্য বিবেচনা করা হলো তার নামই।
প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে বাঘের গর্জন শুনিয়েছিল বাংলাদেশ। টানা দ্বিতীয় ম্যাচে বাঘের থাবায় ক্ষতবিক্ষত হলো অসিরা। মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় ম্যাচে শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়াকে ৮ বল হাতে রেখেই ৫ উইকেটের ব্যবধানে হারিয়েছে টাইগাররা।
দুই তরুণ ব্যাটসম্যান আফিফ হোসেন এবং নুরুল হাসান সোহানের ব্যাটে ভর করে অনায়াসেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় টিম বাংলাদেশ। টস জিতে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে ৭ উইকেট হারিয়ে ১২১ রান করে অসিরা।
মোস্তাফিজুর রহমান নেন ৩ উইকেট। আরেক পেসার শরিফুল ইসলাম নেন ২ উইকেট। জবাব দিতে নেমে শুরুতে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়লেও সাকিব আল হাসান, আফিফ হোসেন এবং নুরুল হাসানের ব্যাটিং দৃঢ়তায় জয় পায় বাংলাদেশ। ৩৭ রানে আফিফ এবং ২২ রানে অপরাজিত থাকেন নুরুল হাসান সোহান।