গ্রুপ ‘এইচ’ থেকে পর্তুগাল শেষ ষোলো নিশ্চিত করলেও বাকি দলটা এখনও নিশ্চিত নয়। জটিল হিসাব-নিকাশে নকআউটে যাওয়া সম্ভবনা আছে তিন দল- দক্ষিণ কোরিয়া, ঘানা ও উরুগুয়ের। উরুগুয়ে-ঘানা ও পর্তুগাল-দক্ষিণ কোরিয়া দুই দলই রাত ৯টায় মাঠে নামবে।
উরুগুয়ের আজ জয় ছাড়া কোনও বিকল্প নেই। ঘানা জিতলেই শেষ ষোলোয় চলে যাবে। ড্র করলেও তাদের সম্ভাবনা থাকবে। সেক্ষেত্রে পর্তুগালকে অবশ্যই দক্ষিণ কোরিয়াকে হারাতে হবে। কোরিয়ানদেরও শেষ ষোলোয় যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। সেক্ষেত্রে জয়ের পাশাপাশি দেখতে হবে ঘানা-উরুগুয়ে ম্যাচের ফলটা যেন অনুকূলে আসে।
অবশ্য ঘানা-উরুগুয়ে ম্যাচটা অন্য কারণেও আলোচনায়। ২০১০ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে সুয়াজেদের মুখোমুখি হয়েছিল ঘানা। এক্সট্রা টাইমে হেড থেকে আফ্রিকানরা গোল পেতেই যাচ্ছিল, তখন সুয়ারেজ হাত দিয়ে বল ঠেকিয়ে ঘানাকে জয় বঞ্চিত করেছিলেন। অবশ্য ওই হ্যান্ডবলে ঘানা পেনাল্টি পেয়েও সেটি মিস করেছিল। পরে টাইব্রেকারে উরুগুয়ের কাছে হেরে শেষ আটেই ছিটকে যায় তারা।
ওই ঘটনার পর থেকে আফ্রিকান দেশটির কাছে খলনায়ক হিসেবে পরিচিত সুয়ারেজ। যাকে তারা স্থানীয়ভাবে নাম দিয়েছেন ‘এল দিয়াবলো’ বা নিজেই একজন শয়তান। তাই বলা যায় ম্যাচটা ঘানার জন্য প্রতিশোধেরও। সুয়ারেজকে ম্যাচের আগে প্রশ্ন করা হয়েছিল ওই হ্যান্ডবলের জন্য ঘানার কাছে ক্ষমা চাইবেন কিনা। জবাবে উরুগুয়ে তারকা বলেছেন, ‘আমি এরজন্য ক্ষমা চাইবো না। যদি আমার কারণে কেউ আহত হতো সেজন্য ক্ষমা চাইতে পারি।’
সুয়ারেজ আরও পরিষ্কার করেন, ওই বিদায়ের জন্য হ্যান্ডবলের ঘটনাটি দায়ী নয়। ঘানা পেনাল্টি পেয়েও তা কাজে লাগাতে পারেনি। সেটাই হচ্ছে ব্যর্থতার কারণ, ‘ভুলটা আমার নয়। আমি পেনাল্টি মিস করিনি। আর এর দায়িত্বও আমার নয়।’
সেবারের আলোচিত ঘটনাটি না ঘটলে হয়তো প্রথম আফ্রিকান দেশ হিসেবে ঘানা বিশ্বকাপের সেমিতে খেলতো। বর্তমান দলটির খেলোয়াড়রা যদিও ওই ঘটনাকে বিশেষ পাত্তা দিচ্ছেন না। ঘানার আর্সেনাল মিডফিল্ডার থমাস পার্টি বলেছেন, ‘অতীতে যা হয়েছে সেটা অবশ্যই ইতিহাস। তা আমাদের মনেও আছে। কিন্তু এখন পরিস্থিতিটা ভিন্ন, এটা আরেকটা ম্যাচ।’