ব্যাট হাতে রানের বন্যা বইয়ে দিয়েছে পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানরা। এরপর বল হাতে আগুন ঝরালেন পাকিস্তানি পেসাররা। ফলে হারারেতে দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় দিনেই চালকের আসনে বসে গেছে সফরকারী পাকিস্তান।
মূলত তিন ‘আলি’তেই রানের পাহাড়ে উঠেছে পাকিস্তান। প্রথম দিনই সেঞ্চুরি করেছিলেন আবিদ আলি এবং আজহার আলি। আজহার আলি সেঞ্চুরির পর আউট হলেও আবিদ আলি ছিলেন অপরাজিত এবং ডাবল সেঞ্চুরি করলেন তিনি আজ। ক্যারিয়ারে এটাই তার প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি। এর আগে ১৭৪ রান ছিল তার সর্বোচ্চ।
আজ আবিদ আলির সঙ্গে ব্যাট হাতে জ্বলে উঠলেন নোমান আলিও। ৯ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে সেঞ্চুরির একেবারে দ্বারপ্রান্তে গিয়ে আউট হয়ে যান তিনি। ১০৪ বলে ঝড়ো ব্যাটিং করে ৯৭ রান করেন নোমান আলি। ক্যারিয়ারে প্রথম হাফ সেঞ্চুরি করার পর সেঞ্চুরিটাও হয়ে যেতো তার। কিন্তু দুর্ভাগ্য, মাত্র ৩ রান দুরে থাকতে আউট হয়ে যান নোমান।
তবুও শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেটে ৫১০ রান করার পর ইনিংস ঘোষণা দেন অধিনায়ক বাবর আজম। ২১৫ রান করে অপরাজিত থেকে যান আবিদ আলি। বল খেলেন তিনি ৪০৭টি। উইকেটে কাটান ৬৩৭ মিনিট। সাজিদ খান ২০ এবং মোহাম্মদ রিজওয়ান করেন ২১ রান।
জিম্বাবুয়ের হয়ে ব্লেসিং মুজারাবানি ৮২ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট। তেন্দাই চিসোরো নেন ১৩১ রান ২ উইকেট। ১টি করে উইকেট নেন রিচার্ড এনগারাবা, লুক জংউই এবং ডোনাল্ড তিরিপানো।
জবাব দিতে নেমে পাকিস্তানি পেসের সামনে রীতিমত দিশেহারা হয়ে পড়েছে স্বাগতিক জিম্বাবুয়ে। শাহিন শাহ আফ্রিদি, তাবিশ খান এবং হাসান আলির বোলিং তোপে দিশেহারা হয়ে ৪৭ রান তুলতেই ৪ উইকেট হারিয়ে বসেছে তারা। এই তিন পেসারই নিয়েছেন ১টি করে উইকেট। স্পিনার সাজিদ খানও যোগ দিয়েছেন উইকেট নেয়ার তালিকায়। তিনি তিন ওভার বোলিং করে কোনো রানই দেননি। উইকেট নিয়েছেন একটি।