অ্যাশেজে নাকানিচুবানি খাওয়ার পর একরকম পালাবদলের ভেতর দিয়ে যাচ্ছে ইংলিশ ক্রিকেট। ইংল্যান্ডের পুরুষ জাতীয় ক্রিকেট দলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদ থেকে আগেই সরিয়ে দেওয়া হয়েছে অ্যাশলি জাইলসকে। তাঁর পথ ধরে এক দিন পর বিদায় নিয়েছেন দলের কোচ ক্রিস সিলভারউড।
ব্যাটিং কোচের পদ থেকে গ্রাহাম থর্পকেও বরখাস্ত করা হয়েছে। নিজেদের ইতিহাসের সবচেয়ে সফল দুই বোলারকেও বাদ দিয়েছে ইংল্যান্ড। কারণ, ইংল্যান্ড পাঁচ টেস্টের সিরিজ ৪-০ ব্যবধানে হেরে এসেছে অস্ট্রেলিয়া থেকে।
সিরিজজুড়েই ইংলিশ ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্স ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। এ ছাড়া সব শেষ ১৪টি টেস্টে ইংল্যান্ডের জয় মাত্র একটি। এসব কারণে দেশটা যেন পুরো ক্রিকেট কাঠামো খোলনলচে পাল্টে দেওয়ার পদক্ষেপ নিয়েছে। জাতীয় দলের নতুন কোচ কে হবেন, এ নিয়ে চলছে জল্পনা-কল্পনা।
আপাতত আগামী মাসে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে তিন টেস্টের সিরিজের জন্য পল কলিংউডকে অন্তর্বর্তীকালীন কোচ হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে ইংল্যান্ড। তবে স্বল্পমেয়াদি পরিকল্পনায় তো আর হয় না, দীর্ঘ মেয়াদের একজন কোচ দরকার। আর ইংল্যান্ডের এই কোচ পদেই কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি স্পিনার শেন ওয়ার্ন।
স্কাই স্পোর্টস পডকাস্টে নিজের আগ্রহের কথা জানিয়েছেন ওয়ার্ন, ‘ইংল্যান্ডের কোচ হতে চাই আমি। এখনই ওদের কোচ হওয়ার আদর্শ সময়। আমার মনে হয়, আমি বেশ ভালো কাজই করব, ওদের নিয়ে অনেক কাজ করার আছে। ইংল্যান্ডে অনেক ভালো খেলোয়াড় আছে, দলটার গভীরতা অনেক। কিন্তু কিছু কিছু মৌলিক বিষয় ঠিক করতে হবে। যেমন বেশি নো-বল করা যাবে না। অতিরিক্ত ক্যাচ ছাড়া যাবে না। দলটায় খেলোয়াড় আছে, তারা শুধু ঠিকঠাক পারফর্ম করতে পারছে না এই যা।’
নিজেদের কোচের খোঁজে শত্রু শিবিরে উঁকিঝুঁকি দেওয়ার অভ্যাস ইংল্যান্ডের আজকের নয় যদিও। ২০১৫ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ইংল্যান্ডের কোচ ছিলেন অস্ট্রেলিয়ান ট্রেভর বেলিস। ইংল্যান্ডকে পরম আরাধ্য ওয়ানডে বিশ্বকাপের শিরোপা এনে দিয়েছেন এই বেলিসই।
ইংল্যান্ডের নতুন কোচ হিসেবে সদ্য ছাঁটাই হওয়া অস্ট্রেলিয়ার কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গারকেও বিবেচনায় রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম টাইমস।
স্কাই স্পোর্টস পডকাস্টে নিজের ইচ্ছা জানানোর পাশাপাশি ল্যাঙ্গারের ছাঁটাই হওয়া নিয়েও কথা বলেছেন ওয়ার্ন। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াকে একদম ধুয়ে দিয়েছেন তিনি, ‘গোটা ব্যাপারটায় ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার ভূমিকা লজ্জাজনক। বিশ্বকাপের পর অ্যাশেজ জয়, এর চেয়ে ভালো ফল আমাদের জন্য হতে পারত না। কিন্তু ল্যাঙ্গার কারও সমর্থন পায়নি। অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক বা অন্য কোনো খেলোয়াড়কে দেখিনি ল্যাঙ্গারকে সমর্থন দিয়ে কিছু বলছে। ব্যাপারটা আমার কাছে হতাশাজনক বলে মনে হয়েছে।’