দুটিই রাণীর দেশের প্রতিনিধি। গ্রেট ব্রিটেনের সদস্য। ইংল্যান্ড এবং স্কটল্যান্ড। তবে একই অঞ্চলের হলেও একই শক্তিমত্তার নয়। ফুটবল মাঠে ইংল্যান্ড আর স্কটল্যান্ডের ব্যবধান আকাশ-পাতাল। কিন্তু শুক্রবার রাতে লন্ডনের বিখ্যাত ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে সেই শক্তির ফারাক আর থাকলো না। স্কটল্যান্ডকে হারাতে পারেনি ইংল্যান্ড। নিজেরাও হারেনি। অর্থ্যাৎ, ম্যাচটি শেষ পর্যন্ত গোলশূন্য ড্র হলো। ইংল্যান্ডের পয়েন্ট কেড়ে নিল স্কটিশরা। পয়েন্ট টেবিলে ইংল্যান্ডের অবস্থান এখন দুই নম্বরে।
প্রথম ম্যাচে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে রাহিম স্টার্লিংয়ের একমাত্র গোলে কোনোমতে জয় নিয়ে ফিরেছিল ইংলিশরা। দ্বিতীয় ম্যাচে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচের জন্য কোচ গ্যারেথ সাউথগেট দুটি পরিবর্তন আনেন একাদশে। ফুলব্যাক রিসে জেমস এবং লুক শকে নিয়ে আসেন একাদশে। একই সঙ্গে স্কটিশরাও পরিবর্তন আনে। কোচ স্টিভ ক্লার্ক মোট ৪টি পরিবর্তন আনেন।
ম্যাচের শুরুতেই দুর্দান্ত খেলেছিল ইংল্যান্ড। প্রথম ২০ মিনিটেই অন্তত দুটি গোল আদায় করে নিতে পারতো তারা; কিন্তু দুর্ভাগ্য হয়নি। জন স্টোনসে একটি হেড নিশ্চিত গোল হওয়া থেকে বেঁচে গেলো। বল চলে যায় পোস্টের ওপর দিয়ে। ম্যাসন মাউন্টের একটি শট চলে যায় বার ঘেঁষে বাইরে। ৩০ মিনিট পূর্ণ হওয়ার খানিক আগেও গোলের দারুণ একটি সুযোগ নষ্ট করেন জর্ডান পিকফোর্ড। শেষ পর্যন্ত প্রথমার্ধ শেষ হয় গোলশূন্যভাবেই।
দ্বিতীয়ার্ধে গোলের লক্ষ্যে মরিয়া হয়ে ওঠেন ইংলিশ কোচ গ্যারেথ সাউথগেট। স্কটিশরা চাচ্ছিল আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে। সাউথগেট যে কারণে ৬০ মিনিটের সময় মাঠে নামান অ্যাস্টন ভিলার অ্যাটাকার জ্যাক গ্রিলিশকে। অধিনায়ক হ্যারি কেন এই ম্যাচেও নিষ্প্রভ। যে কারণে তাকে পরিবর্তন করে মাঠে নামানো হয় মার্কাস রাশফোর্ডকে। কিন্তু লাভ কিছুই হলো না।
ম্যাচ শেষে হ্যারি কেন বলেন, ‘ভালো ফল, ভালো খেলা। স্কটল্যান্ড ডিফেন্সে দুর্দান্ত খেলেছে। তবে এটা আমাদের সেরা পারফরম্যান্স একেবারেই বলা যাবে না। আমাদেরকে অবশ্যই এর চেয়ে ভালো খেলতে হবে এবং আগামী ম্যাচেই চেষ্টা করতে হবে ঘুরে দাঁড়ানোর।