ওয়েলিংটন টেস্ট জিততে ম্যাচের পঞ্চম ও শেষ দিন ৯ উইকেট প্রয়োজন স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের। সফরকারী ইংল্যান্ডের প্রয়োজন ২১০ রান। সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট জয়ের জন্য চতুর্থ দিন ইংল্যান্ডকে ২৫৮ রানের টার্গেট দেয় নিউজিল্যান্ড। জবাবে দিন শেষে ১ উইকেটে ৪৮ রান করেছে ইংলিশরা।
ফলো-অনে পড়ে তৃতীয় দিন শেষে ৩ উইকেটে ২০২ রান করেছিলো নিউজিল্যান্ড। কেন উইলিয়ামসন ২৫ ও হেনরি নিকোলস ১৮ রানে অপরাজিত ছিলেন। চতুর্থ দিন নিউজিল্যান্ডের প্রথম ব্যাটার হিসেবে ২৯ রানে আউট হন নিকোলস। উইলিয়ামসনের সঙ্গে চতুর্থ উইকেটে ৫৫ রানের জুটি গড়েন নিকোলস। এরপর পঞ্চম উইকেটে ড্যারিল মিচেলের সঙ্গে ৭৫ ও ষষ্ঠ উইকেটে উইকেটরক্ষক টম ব্লান্ডেলের সঙ্গে ১৫৮ রানের জুটি গড়েন উইলিয়ামসন।
মিচেল ৫৪ ও ব্লান্ডেল ৯০ রানে ফিরলেও, ৯২ ম্যাচের টেস্ট ক্যারিয়ারে ২৬তম সেঞ্চুরি তুলে নেন উইলিয়ামসন। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১৬তম ম্যাচে চতুর্থ সেঞ্চুরির দেখা পেলেন নিউজিল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক। দলীয় ৪৫৫ রানে ষষ্ঠ ব্যাটার হিসেবে ইংল্যান্ডের মিডিয়াম পেসার হ্যারি ব্রুকের বলে আউট হন উইলিয়ামসন। ১২টি চারে ২৮২ বলে ১৩২ রান করেন তিনি। ইংলিশদের বিপক্ষে এটিই সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রান উইলিয়ামসনের।
উইলিয়ামসন ফেরার পর বাকী ৪ উইকেটে খুব বেশি রান করতে পারেনি নিউজিল্যান্ড। ৪৮৩ রানে গুটিয়ে যায় কিউইরা। ইংল্যান্ডের বাঁ-হাতি স্পিনার জ্যাক লিচ ১৫৭ রানের বিনিময়ে ৫ উইকেট নেন। ৩৪ ম্যাচের টেস্ট ক্যারিয়ারে পঞ্চমবারের মত পাঁচ বা ততোধিক উইকেট নিলেন লিচ।
২৫৮ রানের টার্গেটে দিনের শেষভাগে ১১ ওভার ব্যাট করার সুযোগ পায় ইংল্যান্ড। ৮ ওভারে ৩৯ রান তুলেন ইংলিশ দুই ওপেনার জ্যাক ক্রলি ও বেন ডাকেট। ক্রলিকে ২৪ রানে বোল্ড করে নিউজিল্যান্ডকে প্রথম সাফল্য এনে দেন অধিনায়ক ও পেসার টিম সাউদি। দিন শেষে ডাকেট ২৩ ও নাইটওয়াচম্যান ওলি রবিনসন ১ রানে অপরাজিত আছেন।