বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) নবম আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে সিলেট স্ট্রাইকার্স। টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ধুঁকতে থাকে চ্যালেঞ্জার্সের ব্যাটাররা। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে ৮৯ রান সংগ্রহ করে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। ৯০ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ৭ ওভার ৩ বল হাতে রেখে ৮ উইকেটের বড় জয় পায় সিলেট স্ট্রাইকার্স।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় চট্টগ্রাম। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে দলীয় ১১ রানে মেহেদী মারুফের উইকেট হারায় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। ১৪ বলে ১১ রান করে আউট হন তিনি। এরপর দলীয় ১৮ রানে আরেক ওপেনার দারউইশ রসুলির উইকেট হারায় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। ৯ বলে মাত্র ৩ রান করে সাজঘরের পথ ধরেন তিনি।
রসুলির বিদায়ের পর আবারও উইকেট হারায় চ্যালেঞ্জার্স। দলীয় ২২ রানে ৭ বলে মাত্র ১ রান করে আউট হয় অধিনায়ক শুভাগত হোম। এরপর আল আমিন ও আফিফ হোসেন মিলে চাপ সামাল দেওয়ার চেষ্টা করে। তবে ইনিংসের ১০তম ওভারে দলীয় ৪৪ রানে ২০ বলে ১৮ রান করে আউট হন আল আমিন।
এরপর ক্রিজে এসেই আউট হন উসমান খান। দলীয় ৪৭ রানে ৪ বলে মাত্র ২ রান করে আউট হন তিনি। উসমান খানের বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন উনমুক্ত চাঁদ। আফিফ হোসেন ও উনমুক্ত চাঁদ মিলে ইনিংস মেরামতের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। দলীয় ৬২ রানে ১০ বলে ৫ রান করে আউট হন উনমুক্ত চাঁদ।
মাত্র ৬২ রানেই ৬ উইকেট হারায় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। এরপর ক্রিজে আসেন মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী। দলীয় ৬৭ রানে ৪ বলে ৩ রান করে আউট হন মৃত্যুঞ্জয়। এক পাশে উইকেট হারালেও অন্যপ্রান্তের উইকেট আগলে রেখে খেলতে থাকেন আফিফ হোসেন। কিন্তু ইনিংসের ১৬তম ওভারে দলীয় ৭৪ রানে সাজঘরে ফিরে যান আফিফ। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ২৩ বলে ২৫ রান করেন মোহাম্মদ আমিরের বলে আউট হন তিনি।
আফিফের বিদায়ের পর ইনিংসের ১৯তম ওভারে দলীয় ৮০ রানে ১৫ বলে ৮ রান করে আউট হন নিহাদুজ্জামান। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে ৮৯ রান সংগ্রহ করে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। সিলেট স্ট্রাইকার্সের পক্ষে রেজাউর রহমান রাজা ৩টি ও মোহাম্মদ আমির নেন ২টি উইকেট।
৯০ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই উইকেট হারায় সিলেট স্ট্রাইকার্স। দলীয় ১২ রানে ওপেনার কলিন অ্যাকারম্যানকে সাজঘরে ফেরান পেসার মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী। তবে এরপর শুরুর ধাক্কা সামলে নেন ওয়ান ডাউনে নামা জাকির হোসেন ও ওপেনার নাজমুল শান্ত।
দু’জন মিলে ৪০ বলে গড়েন ৫০ রানের পার্টনারশিপ। জাকির ও নাজমুল শান্তর ব্যাটে ভর করে জয়ের সুবাস পেতে থাকে সিলেট স্ট্রাইকার্স। জয় থেকে ১৫ রান দূরে থাকতে আউট হন জাকির হোসেন। ২১ বলে ২৭ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি।
জাকিরের বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন মুশফিকুর রহিম। শেষ পর্যন্ত আর কোন উইকেট না হারিয়ে ৭ ওভার ৩ বল হাতে রেখে ৮ উইকেটের বড় জয় পায় সিলেট স্ট্রাইকার্স। নাজমুল শান্ত ৪১ বলে ৪৩ ও মুশফিক ৮ বলে ৬ রান করে অপরাজিত থাকেন। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের পক্ষে মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী ও মালিন্দা পুষ্পকুমারা নেন ১টি করে উইকেট।