গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লড়াই ছিল আর্জেন্টিনা এবং প্যারাগুয়ের মধ্যে। ৩ ম্যাচে ৭ পয়েন্ট ছিল আর্জেন্টিনার। প্যারাগুয়ের ছিল ৬ পয়েন্ট। শেষ ম্যাচে যদি আর্জেন্টিনা হোঁচট খেতো এবং উরুগুয়েকে হারিয়ে দিত প্যারাগুয়ে, তাহলেই সেটা সম্ভব ছিল।
কিন্তু কোপা আমেরিকার গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে হলো উল্টোটা। বলিভিয়াকে ৪-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে আর্জেন্টিনা। অন্যদিকে উরুগুয়ের কাছে ১-০ গোলে পরাজয় মানতে বাধ্য হলো প্যারাগুয়ে। যার ফলে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন তো হওয়া দুরে থাক, গ্রুপ রানারআপও হতে পারলো না প্যারাগুইয়ানরা।
গ্রুপের তিন নম্বর দল হিসেবে উঠেছে কোয়ার্টার ফাইনালে। ৪ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আর্জেন্টিনা। ৭ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে উরুগুয়ে, ৬ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে প্যারাগুয়ে এবং ৫ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে রয়েছে চিলি। বলিভিয়া কোনো ম্যাচই জিততে পারেনি, ড্রও না। যার ফলে তাদের নামের পাশে পয়েন্ট হলো শূন্য।
প্যারাগুয়ের বিপক্ষে উরুগুয়ের জয়ে একমাত্র গোলটি করেন এডিনসন কাভানি। ম্যাচের ২১ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করেন তিনি। গ্রুপ পর্বের নিজেদের শেষ ম্যাচ হারলেই সুয়ারেজ-কাভানিদের সামনে ছিল বিপদ। প্যারাগুয়ের কাছে এই ম্যাচ হারলেই ‘এ’ গ্রুপে চতুর্থ হতো উরুগুয়ে। আর তাহলেই কোয়ার্টার ফাইনালে ‘বি’ গ্রুপের শীর্ষ দল ব্রাজিলের মুখোমুখি হতে হতো উরুগুয়েকে। তবে, সুয়ারেজদের ভাগ্য ভালো যে, প্যারাগুয়েকে হারিয়ে তারা ব্রাজিলকে পাশ কাটাতে সক্ষম হলো। অস্কার তাবারেজের ছেলেরা এখন কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি হবে কলম্বিয়ার।
তবে এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচেও লুইস সুয়ারেজকে ছাড়াই মাঠে নেমেছিল উরুগুয়ে। দলের সেরা খেলোয়াড়ের অনুপস্থিতিতে যার দায়িত্ব বেড়ে গিয়েছিল, তিনি এডিনসন কাভানি। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের এই স্ট্রাইকার নিজের দায়িত্ব প্রথমার্ধেই পালন করেছেন। শুরু থেকেই গোলের জন্য চেষ্টা করে যাওয়া উরুগুয়ের গোলের ভাগ্য খোলে ম্যাচের ১৯ মিনিটে।
নাহিতান নান্দেজকে পেনাল্টি বক্সের মধ্যে ফাউল করে বসেন প্যারাগুয়ের আনহেল রোমেরো। পেনাল্টি নেওয়ার দায়িত্ব বুঝে নেন কাভানি। কোনো ভুল করেননি গোল করতে। জড়িয়ে দেন প্যারাগুয়ের জালে। ম্যাচের ৬৭ মিনিটে কাভানির পরিবর্তে মাঠে নামেন সুয়ারেজ। নেমেই গোলের দেখা পেতে পারতেন, যদি তার সতীর্থ সঠিক জায়গায় পাস দিতে পারতেন। গোটা দুই ফ্রি-কিক থেকে চেষ্টা করেছেন, কিন্তু এদিন গোল পাননি সুয়ারেজ।