অনেকেই তাকে বলেন ‘সাইলেন্ট কিলার’, অনেকেই বলেন ‘দুঃসময়ের বন্ধু।’ যে নামেই ডাকেন না কেন, তাতে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের বিন্দুমাত্র ভ্রুক্ষেপ নেই। বাইশ গজের লড়াইয়ে নিজের কাজটাতেই যত মনযোগ তার। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচেই দলের বিপদের মুখে চওড়া হয়েছে তার ব্যাট। ধারাবাহিক সফলতার জন্য ফিট থাকা বড় ব্যাপার বলছেন মাহমুদউল্লাহ।
বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের খেলোয়াড়দের বিপক্ষে শক্ত অভিযোগ আছে, অনুশীলনে অনীহা অনেকের। ফিটনেস নিয়েও বাড়তি কাজ করতে চান না অনেক ক্রিকেটার। সেদিক দিয়ে একেবারে ব্যতিক্রম মুশফিকুর রহিম। শেষ দুই-তিন বছর ধরে অনুশীলন নিয়ে বাড়তি কাজ করছেন মাহমুদউল্লাহ। সেটিই কাজে আসছে মাঠের লড়াইয়ে।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডের একদিন আগে আজ মিরপুরে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে মাহমুদউল্লাহ বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ ফিটনেস লেভেল ক্যারিয়ারের সেরা অবস্থানে আছি। এটা নিয়ে গত ২-৩ বছর ধরে কাজ করছি। ফিট থাকার চেষ্টা করছি, রানিং হোক জিম হোক। বাড়তি রানিং, বাড়তি জিম, বাড়তি সেশন। ২-১ টা ইনজুরিও হয়েছিল, এগুলোর জন্য অনেক ব্যালেন্সিং ও ম্যান্টেন্যান্স কাজ করা লাগে। চেষ্টা করছি ফিটনেস যেন ভালো থাকে।’
বাড়তি অনুশীলন কতটা সাহায্য করে মাহমুদউল্লাহকে? জবাবে তিনি জানান, ‘অবশ্যই সাহায্য করে। ম্যাচ প্রস্তুতিও অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আমরা সবাই কমবেশি এখন এটার গুরুত্ব বুঝি। সবাই সেভাবেই প্রস্তুতি নেওয়ার চেষ্টা করি। আমি ব্যক্তিগতভাবে চেষ্টা করি আমার প্রস্তুতি যেন সঠিকভাবে নিতে পারি, বিশেষ করে ম্যাচের আগের অনুশীলনকে অনেক গুরুত্ব দেই।
ফিটনেস নিয় কাজ করলেও দীর্ঘদিন চোটের সঙ্গে লড়ছেন মাহমুদউল্লাহ। সবশেষ বোলিং করেছে ২০১৯ সালে নিউজিল্যান্ড সফরে। মাঝে কেটে গেছে প্রায় ২৭ মাস। ইনজুরির কারণে তো সবশেষ শ্রীলঙ্কা সফরের টেস্ট দলেও ছিলেন না। এবার লঙ্কানদের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ দিয়ে ফিরেছেন। মাহমুদউল্লাহ বলছেন, বর্তমানে সম্পূর্ণ সুস্থ তিনি। এমনকি অধিনায়ক চাইলে হাত ঘোরাতেও কার্পণ্য করবেন না।
মাহমুদউল্লাহ জানান, ‘আলহামদুলিল্লাহ আমি বোলিংয়ে ফিরেছি। যখনই দলের দরকার পড়বে আমি সার্ভিস দেওয়ার চেষ্টা করব।