‘বাজবল’ ক্রিকেট দিয়ে টেস্ট ক্রিকেটকে নতুন মাত্রায় নিয়ে গেছে ইংল্যান্ড। সমস্ত প্রতিপক্ষ তাদের নিজ নিজ বেসবলে পড়ে যায়। তবে প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া হলে ইংলিশ বেসবলও পড়ে তাদের। ঐতিহ্যবাহী ক্রিকেট ব্যবহার করে ইংলিশ বেসবলকে বিধ্বস্ত করে অ্যাশেজে অস্ট্রেলিয়া ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে ছিল।
এজবাস্টনে প্রথম অ্যাশেজ টেস্ট চোখের পলকে বদলে গেল রঙ। মাঝে মাঝে বৃষ্টি হতো। তবে সর্বোপরি, পাঁচ দিনের ক্রিকেটে সাদা পোশাকের ঐতিহ্য বজায় রেখে ম্যাচ জিতেছে প্যাট কামিন্সের দল ২ উইকেটে। ক্যাপ্টেন কামিন্সের নেতৃত্বাধীন ইনিংসে ইংলিশদের বিধ্বস্ত করে এজবাস্টনে শেষ হাসি হেসেছিল অস্ট্রেলিয়া।
চতুর্থ ইনিংসে ২৮১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শেষ দিনে টেস্ট চ্যাম্পিয়নদের প্রয়োজন ১৭৪ রান। বৃষ্টির কারণে শেষ দিনের প্রথম অধিবেশন স্থগিত করা হয়। বৃষ্টির পর আগের ইনিংসে উসমান খাজা ৬৫ রান করে অজিদের জয় শঙ্কায় ফেলে দেন। নবম উইকেটে, কামিন্স এবং নাথান লায়নের অবিচ্ছিন্ন 55 রানের জুটি এজবাস্টনের আকাশে হলুদ আনন্দ ছড়িয়ে দেয়।
এজবাস্টন টেস্টের প্রথম দিনে জো রুটের সেঞ্চুরিতে ৩৯৩ রান করে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে ইংল্যান্ড। উসমান খাজার সেঞ্চুরিতে অস্ট্রেলিয়া তাদের প্রথম ইনিংসে ৩৮৬ রান করে। রুট বেসবল স্টাইলে 118 রান করায়, খাজার ইনিংসটি পুরানো টেস্ট মেজাজে ছিল। খাজা ৩২১ বলে ১৪১ রানের ইনিংস খেলেন।
প্রথম ইনিংসে 7 রানের লিড নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার কাছে 281 রানের লক্ষ্য ছিল কারণ ইংল্যান্ড দ্বিতীয় ইনিংসে 273 রান করে। চতুর্থ দিনে রাউন্ড তাড়া করতে গিয়ে পেন্ডুলামের মতো দুলতে থাকে ম্যাচের ভাগ্য। দুই সেরা টেস্ট ব্যাটসম্যান মার্নাস লাবুশানে এবং স্টিভ স্মিথও এই ইনিংসে নিজেদের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি।
আগের ইনিংসে সেঞ্চুরিয়ান খাজা এই ইনিংসেও একাই লড়ছিলেন। ডেভিড ওয়ার্নার এবং স্কট বোল্যান্ড প্রায়ই তার সঙ্গী হতেন। ফাইনালের দিনে ক্যামেরন গ্রিন, অ্যালেক্স কেরি এবং খাজা দলকে জয়ের দিকে ঠেলে দেন এবং এক পর্যায়ে সবাই অস্ট্রেলিয়ার জয় দেখেন কিন্তু ম্যাচটি ঘুরে দাঁড়ায় যখন খাজাকে ইংল্যান্ডের অধিনায়ক বেন স্টোকস ছিটকে দেন। খাজা বের হওয়ার কিছুক্ষণ পরেই শেষ স্বীকৃত ব্রিফকেসে ফিরে এল সাগর।
শেষ ২ উইকেটে অস্ট্রেলিয়ার দরকার ছিল ৫৪ রান। সেখান থেকে স্পিনার লায়নকে নিয়ে অজিদের লিড নেন ক্যাপ্টেন কামিন্স। পেসার থেকে ব্যাটসম্যান কামিন্স শান্তভাবে দলকে জয়ের পথে নিয়ে যান। কামিন্স ৭৩ বলে ৪৪ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে দলকে জয়ের পথে নিয়ে যান। আসাদ ২৮ বলে ১৬ রান করে তাকে ভালো সমর্থন দেন। অস্ট্রেলিয়া ২ উইকেটে জিতে ৫টি অ্যাশেজ ম্যাচে ১-০ তে এগিয়ে।