অস্ট্রেলিয়ার পর ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডকেও টি-টোয়েন্টি সিরিজে হারিয়েছে বাংলাদেশ। তবে ফরম্যাটটা টি-টোয়েন্টি হলেও ব্যাটসম্যানদের হাত খুলে খেলার উপায় ছিল না। রীতিমত ধুঁকেছেন তারা।
সিরিজ জয়ের পরও তাই উইকেট নিয়ে আলোচনা থামেনি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে এমন উইকেটে খেলে বাংলাদেশের প্রস্তুতি কতটা আদর্শ হলো, সেই প্রশ্নও রয়েই গেছে।
আগেও বলেছেন। আরও একবার উইকেট নিয়ে মুখ খুললেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। শনিবার রাতে এক প্রতিষ্ঠানের অনুষ্ঠানে সাকিব খোলাখুলিই বলে ওঠেন, এমন উইকেট একটা ব্যাটসম্যানের ক্যারিয়ার শেষ করে দিতে পারে।
সাকিব বলেন, ‘দেখুন, এই ৯-১০টা ম্যাচ যারা খেলেছে, সবাই অফফর্মে আছে। উইকেটটাই এমন। এখানে কেউ খুব একটা ভালো করেনি। ব্যাটসম্যানদের এই পারফরম্যান্স গণ্য না করাই ভালো। এ রকম উইকেটে কোনো ব্যাটসম্যান ১০-১৫টা ম্যাচ খেললে তার ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যাবে, এটা খুবই স্বাভাবিক। কাজেই এই হিসাব (রানের) না করি আমরা। যারা দলে আছে, সবাই দেশকে জেতানোর সামর্থ্য রাখে। যার যার জায়গা থেকে সবাই শতভাগ চেষ্টা করছে।’
যদিও এই উইকেটে খেলে প্রস্তুত হতে পারেনি বাংলাদেশ, তেমনটা মানছেন না সাকিব। তার কথা, ‘আমাদের প্রস্তুতি খুবই ভালো হয়েছে। এর বড় কারণ হচ্ছে গত তিনটা সিরিজ আমরা জিততে পেরেছি। হয়তো পিচ, উইকেট, লো স্কোর নিয়ে অনেক সমালোচনা হয়েছে। কিন্তু জয়ের কোনো বিকল্প নেই। একটা দল যখন জিততে থাকে, জয়ের মানসিকতা থাকে, তা অন্য পর্যায়ের আত্মবিশ্বাস দেয়। আপনি অনেক ভালো খেলে ম্যাচ হারলে এই আত্মবিশ্বাস থাকবে না। এই আত্মবিশ্বাস নিয়ে আমরা বিশ্বকাপে যেতে চাই।’
বিশ্বকাপের আগে ওমানে কন্ডিশনিং ক্যাম্প করবে বাংলাদেশ। সেই ক্যাম্পে নিজেদের প্রস্তুত করে নেয়ার জন্য যথেষ্ট সময় পাওয়া যাবে বলেই মনে করেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।
সাকিব বলেন, ‘আমরা বিশ্বকাপ শুরুর ১৫-১৬ দিন আগে যাব, প্রস্তুতির যথেষ্ট সময় থাকবে। ওই কন্ডিশন ও উইকেটের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার যথেষ্ট সময় পাব। আমার মনে হয় না এখানকার পিচ-কন্ডিশন ওখানে খুব বেশি প্রভাব ফেলবে। আমাদের জয়ের মানসিকতা তৈরি হয়েছে। যে আত্মবিশ্বাস আছে, সেটা নিয়ে বিশ্বকাপে যেতে পারব।’