এমবাপ্পের জোড়া গোলে অতিরিক্ত সময়ে গড়ালো ফাইনাল ম্যাচ
খেলা

এমবাপ্পের জোড়া গোলে অতিরিক্ত সময়ে গড়ালো ফাইনাল ম্যাচ

অতিরিক্ত সময়ে গড়াল আর্জেন্টিনা-ফ্রান্সের মধ্যকার কাতার বিশ্বকাপের ফাইনাল। রোববার (১৮ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় মাঠে নামে দু’দল। ম্যাচের ২৩ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে আর্জেন্টিনাকে লিড এনে দেন লিওনেল মেসি। এরপর ম্যাচের ৩৬ মিনিটে আর্জেন্টিনার লিড বাড়িয়ে দেন ডি মারিয়ে। এরপর আক্রমণ করেও গোল করতে ব্যর্থ হয় ফ্রান্স ও আর্জেন্টিনা। শেষ পর্যন্ত আর কোন গোল না হলে ২-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় আর্জেন্টিনা। বিরতি থেকে ফিরে জোড়া গোল করে ফ্রান্সকে সমতায় ফেরায় কিলিয়ান এমবাপ্পে। শেষ পর্যন্ত আর কোন গোল না হলে অতিরিক্ত সময়ে গড়ায় ফাইনাল ম্যাচটি।




ম্যাচের শুরু আক্রমণে যায় আর্জেন্টিনা। ম্যাচের তৃতীয় মিনিটে বাম দিক থেকে ক্রস করেন ডি মারিয়া। সেখান বল পেয়ে পাস দিলে না নিজের দখলে নেন ফ্রান্সের গোলরক্ষক হুগো লরিস। ম্যাচের ৫ মিনিটে ডি বক্সের বাইরে থেকে শট করেন ম্যাক অ্যালিস্টার। তবে তা আটকে দেন হুগো লরিস। এরপর ম্যাচের ৮ মিনিটে ডি বক্সের বাইরে থেকে শট করেন ডি পল। তবে ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে প্রতিহত হলে কর্নার পায় আর্জেন্টিনা। তবে তা কাজে লাগাতে পারেনি তারা।



ম্যাচের ১৩ মিনিটে প্রথম আক্রমণে ওঠে ফ্রান্স। তবে বল নিজের দখলে নিয়ে ক্লিয়ার করে দেন গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। ম্যাচের ১৭ মিনিটে ডি বক্সের ভেতর থেকে শট করেন ডি মারিয়া। তবে তা চলে যায় ক্রসবারের অনেক ওপর দিয়ে। ম্যাচের ১৯ মিনিটে বাম দিকে ডি বক্সের বাইরে থেকে ফ্রি কিক পায় ফ্রান্স। সেখান থেকে অ্যান্তোনিও গ্রিজম্যানের নেওয়া ফ্রি কিক থেকে হেড করেন অলিভিয়ের জিরুদ। তবে তা অল্পের জন্য চলে যায় ক্রসবারের ওপর দিয়ে।



ম্যাচের ২১ মিনিটে ডি বক্সের ভেতর ডি মারিয়াকে ফাউল করলে পেনাল্টি পায় আর্জেন্টিনা। সেখান থেকে গোল করে আর্জেন্টিনাকে এগিয়ে দেন লিওনেল মেসি। তার গোলে ম্যাচে প্রথমবারের মতো লিড পায় আর্জেন্টিনা। ম্যাচে পিছিয়ে পড়ে আক্রমণে যায় ফ্রান্স। ম্যাচের ২৬ মিনিটে ডি বক্সের বাইরে থেকে ফ্রি কিক পায় ফ্রান্স। তবে তা থেকে গোল করতে ব্যর্থ হয় তারা। 



এরপর ম্যাচের ২৯ মিনিটে কর্নার পায় আর্জেন্টিনা। তবে তা কাজে লাগাতে পারেনি তারা। ম্যাচের ৩৬ মিনিটে ফের গোলের দেখা পায় আর্জেন্টিনা। কাউন্টার অ্যাটাক থেকে ডান দিক থেকে পাস দেন ম্যাক অ্যালিস্টার। সেখান দারুণ ফিনিশিংয়ে বল ফ্রান্সের জালে জড়ান ডি মারিয়া। তার গোলে ম্যাচে ২-০ গোলের লিড পায় আর্জেন্টিনা। 



এরপর ম্যাচের ৪৩ মিনিটে আক্রমণে যায় আর্জেন্টিনা। তবে তা থেকে গোল করতে ব্যর্থ হয় তারা। ম্যাচের ৪৫ মিনিটে আক্রমণে যায় ফ্রান্স। তবে তা ক্লিয়ার করে দেয় ডিফেন্ডাররা। এরপর বেশকিছু আক্রমণ করেও গোল করতে ব্যর্থ হয় দু’দল। শেষ পর্যন্ত আর কোন গোল না হলে ২-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় আর্জেন্টিনা।




 

 বিরতি থেকে ফিরেই আক্রমণে যায় আর্জেন্টিনা। তবে তা রুখে দেন হুগো লরিস। ম্যাচের ৪৯ মিনিটে বাম দিকে থেকে ডি মারিয়ার পাস থেকে ভলি করেন ডি পল। তবে তা আবারও রুখে দেন হুগো লরিস। এরপর ম্যাচের ম্যাচের ৫১ মিনিটে কর্নার পায় ফ্রান্স। কর্নার থেকে ভেসে আসা বলে নিজের গ্লাভসে নেন এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। 



এরপর ম্যাচের ৫৩ মিনিটে কর্নার পায় আর্জেন্টিনা। তবে তা কাজে লাগাতে পারেনি তারা। ম্যাচের ৫৫ মিনিটে ডি পলকে ফাউল করার কারণে হলুদ কার্দ দেখেন আদ্রিয়েন র‌্যাবিওট। এরপর ম্যাচের ৫৭ মিনিটে আক্রমণে যায় ফ্রান্স। তবে তা আটকে যায় আর্জেন্টাইন ডিফেন্সে। ম্যাচের ৫৯ মিনিটে ডি মারিয়ার পাস থেকে শট করেন জুলিয়ান আলভারেজ। তবে তা আটকে সেভ করেন হুগো লরিস।



ম্যাচের ৬০ মিনিটে ডি বক্সের ভেতর থেকে শট করেন মেসি। তবে তা চলে যায় পোস্টের বাইর দিয়ে। ম্যাচের গোলের সুযোগ পায় আর্জেন্টিনা। তবে বেড়িয়ে এসে ক্লিয়ার করে দেন হুগো লরিস। এরপর ম্যাচের ৬৭ মিনিটে কর্নার পায় ফ্রান্স। তবে তা কাজে লাগাতে পারেনি তারা। ম্যাচের ৭১ মিনিটে ডি বক্সের ভেতর থেকে শট করেন এমবাপ্পে। তবে তা চলে যায় ক্রবারের ওপর দিয়ে। 



এরপর ম্যাচের ৭৮ মিনিটে আক্রমণে যায় আর্জেন্টিনা। তবে তা থেকে গোল করতে ব্যর্থ হয় তারা। এরপর ম্যাচের ৭৯ মিনিটে কোলো মোনিকে ফাইল করার কারণে পেনাল্টি পায় ফ্রান্স। পেনাল্টি থেকে গোল করেন এমবাপ্পে। তার গোলে ম্যাচে ব্যবধান কমায় ফ্রান্স। এরপর ম্যাচের ৮২ মিনিটে ফের গোলের দেখা পায় ফ্রান্স। কোম্যানের পাস থেকে বল আবারও জালে জড়ান এমবাপ্পে। তার জোড়া গোলে ম্যাচে সমতা আনে ফ্রান্স। 



ম্যাচের ৮৫ মিনিটে বাম দিক থেকে বাড়ালেও তাতে মাথা ছোঁয়াতে না পারায় গোল থেকে বঞ্চিত হয় ফ্রান্স। ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে কর্নার পায় ফ্রান্স। তবে তা থেকে গোল করতে ব্যর্থ হয় তারা। এরপর একাধিক চেষ্টা করেও গোল করতে ব্যর্থ হয় দু’দল। শেষ পর্যন্ত আর কোন গোল না হলে অতিরিক্ত সময়ে গড়ায় ফাইনাল ম্যাচ।

Source link

Related posts

ইয়াঙ্কিসের বিশ্বস্ত বাম বিধ্বস্ত হওয়ার সাথে সাথে মেটস ভক্তরা জুয়ান সোটোর স্বাক্ষর উপভোগ করেন: ‘আঙ্কেল স্টিভি এটা করেছেন!’

News Desk

বিল বেলিচিক ব্যাখ্যা করেছেন কেন ইউএনসি নিয়োগের এনএফএলের সাথে ‘খুব অনুরূপ’ অনুভূতি রয়েছে: ‘এটি উত্তেজনাপূর্ণ’

News Desk

এশিয়ান গেমসে জাপানের গ্রুপে সাবিনারা, চীনের গ্রুপে জামালরা

News Desk

Leave a Comment