টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে ২২২ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করায় রাজস্থান রয়্যালস। যা আইপিএলের চলতি আসরে কোনো দলের সর্বোচ্চ স্কোর। তখনই দিল্লি ক্যাপিটালসের পরাজয় দেখছিল অনেকে। শেষ পর্যন্ত হয়েছেও তাই। কিন্তু শেষ ওভারে গিয়ে অনেক নাটকীয়তা ও বিতর্কেরও জন্ম হয়েছে।
শেষ দুই ওভারে জয়ের জন্য দিল্লির প্রয়োজন ছিল ৩৬ রান। শেষ ওভারে গিয়েও একই ব্যবধান দাঁড়ায়। কারণ, ১৯তম ওভারে কোনো রান না দিয়ে এক উইকেট তুলে নেন রাজস্থানের পেসার প্রসিধ কৃষ্ণা। ২০তম ওভারে ওবেদ ম্যাকয়ের হাতে বল তুলে দেন রাজস্থানের অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন। অবিশ্বাস্যভাবে প্রথম তিনটি বলেই ছক্কা হাঁকান দিল্লির ক্যারিবীয়ান ব্যাটার রোভম্যান পাওয়েল। হারতে বসা দিল্লি শিবিরেও জয়ের আশা জাগ্রত হয়। বিতর্কের সৃষ্টি হয় তৃতীয় বলে। ফুলটাস বলটি ছক্কা মারলেও সেটির জন্য নো-বল কল করে দিল্লি। আম্পায়ার নো-বলের ইশারা না করাতেই যত ঝামেলার সৃষ্টি।
দিল্লির দাবি, বলটা কোমরের চেয়েও বেশি উচ্চতায় থাকায় নো-বল ছিল। এতে একটা ফ্রি-হিট পেলে তখন ব্যবধান হতো ৪ বলে ১৭ রান! তখন জয়ের সমীকরণটাও সহজ হতো। কিন্তু আম্পায়ার সাড়া দেননি। দিল্লি চেয়েছিল তৃতীয় আম্পায়ারের কাছে যেতে। তাতেও মাঠের আম্পায়ার রাজি হননি। ক্রিজে থাকা দুই ব্যাটার পাওয়েল ও কূলদীপ যাদবও মাঠে আম্পায়ারের সঙ্গে কথা বলতে থাকেন। ডাগআউট থেকে অধিনায়ক রিশাভ পান্ট তাদেরকে ওঠে আসতে বলেন। এমনকি সহকারী কোচ প্রভিন আমরেকেও মাঠে নেমে আম্পায়ারের সঙ্গে কথা বলতে পাঠানো হয়।
শেষ পর্যন্ত ওই তিন বলে মাত্র ২ রান নিতে সক্ষম হয় দিল্লি। শেষ বলে ছক্কা মারতে গিয়ে ক্যাচ আউট হয়েছেন পাওয়েল। অনেকে বলছেন, দিল্লি যদি নো-বল নিয়ে বিতর্ক না করতো তাহলে হয়তো ছয় বলে ছয় ছক্কা মেরে ম্যাচ জিতিয়েই মাঠ ছাড়তে পারতেন পাওয়েল। কারণ, তার ব্যাটে সেই মুহূর্তটা ছিল। আর একজন বোলার যখন এভাবে মার খেতে শুরু করে তখন সে তার আত্মবিশ্বাসও হারিয়ে ফেলে। এ সুযোগটাই কাজে লাগাতে পারতেন পাওয়েল। কিন্তু নো-বল বিতর্কের কারণে কিছুটা সময় পায় রাজস্থান। এই সময়ের মধ্যে ম্যাকয়ের মাঝেও কিছু আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে দিতে সক্ষম হয় তারা। সেটিরই প্রতিফলন দেখা গেলো তার পরবর্তী তিন বলে।