বাংলাদেশের ক্রিকেটের অনেক সুখস্মৃতির সঙ্গে জড়িয়ে পাকিস্তান। ১৯৯৯ সালে বিশ্বকাপে প্রথম অংশগ্রহণেই পাকিস্তানকে হারিয়েছিল আমিনুল ইসলাম বুলবুলের দল। চলতি মাসে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে পাকিস্তানকে হারিয়েই ওয়ানডে বিশ্বকাপে প্রথম জয় পেয়েছে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। গতকাল সেই পাকিস্তানের মাধ্যমেই আইসিসির ওয়ানডে র্যাংকিংয়ে আরেকটি সুখবর পেলেন তামিম-সাকিবরা।
গত মঙ্গলবার লাহোরে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৮৮ রানে হেরেছে পাকিস্তান। যা বাংলাদেশের জন্য শাপেবর হয়ে ধরা দিয়েছে। গতকাল ওয়ানডে র্যাংকিং হালনাগাদ করেছে আইসিসি। প্রকাশিত নতুন র্যাংকিংয়ে এক ধাপ এগিয়ে ৬ নম্বরে উঠে এসেছে বাংলাদেশ দল। শুধু দল হিসেবে নয়, গতকাল প্রকাশিত র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা নতুন অর্জনে ভেসেছেন। বোলারদের র্যাংকিংয়ের শীর্ষ দশে উঠে এসেছেন সাকিব আল হাসান। চার ধাপ এগিয়ে সাকিব আছেন ৮ নম্বরে। সেরা দশে বাংলাদেশের আরেক প্রতিনিধি মেহেদী হাসান মিরাজ। তিনি আছেন ৭ নম্বরে। সবচেয়ে বড় উন্নতি হয়েছে তাসকিন আহমেদের। ১৫ ধাপ উন্নতি হয়েছে ডানহাতি এ পেসারের। দুর্দান্ত বোলিংয়ের পুরস্কারই যেন পেলেন তিনি। তাসকিন রয়েছেন ৩৩তম স্থানে।
ওয়ানডেতে ধারাবাহিক সাফল্যের স্বীকৃতিই পেয়েছে টাইগাররা। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২-১-এ ওয়ানডে সিরিজ জয়ের ফলটা পেয়ে গেছে তামিম ইকবালের দল।
অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে অবনমন হয়েছে পাকিস্তানের। হোম কন্ডিশনে র্যাংকিংয়ের ৩ নম্বর দল অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে কিছু রেটিং পয়েন্ট হারিয়েছে বাবর আজমের দল। এখন বাংলাদেশ, পাকিস্তান দুই দলের রেটিং ৯৩। তবে রেটিং পয়েন্টে পাকিস্তানের (২৫৯০) চেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ (৩৩৫০)। তাই র্যাংকিংয়ে বাবর বাহিনীকে টপকে ৬ নম্বরে বাংলাদেশ।
অস্ট্রেলিয়ার কাছে তিন ম্যাচের এ সিরিজে পাকিস্তান হোয়াইটওয়াশ হলে টাইগাররা র্যাংকিংয়ের ছয়ে থেকে যাবে। তবে একটি ম্যাচ জিতলেই বাবরের দল আবার ছয়ে চলে আসবে। আর সিরিজ জিতলে ছয়ে তাদের অবস্থান দৃঢ় হবে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আজ সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে খেলতে নামবে পাকিস্তান।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ শুরুর আগে বোলারদের র্যাংকিংয়ে ৬০ নম্বরে ছিলেন তাসকিন। সিরিজের দুই ম্যাচ খেলে ১২ ধাপ এগিয়েছিলেন তিনি। প্রোটিয়াদের সঙ্গে দুই ওয়ানডের পর ১২ ধাপ উন্নতি হয় তার। শেষ ম্যাচে ৩৫ রানে ৫ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের সিরিজ জয়ে বড় অবদান রাখেন তাসকিন। ম্যাচজয়ী পারফরম্যান্সের কারণে ১৫ ধাপ এগিয়েছেন তিনি। ৩৩ নম্বরে যুগ্মভাবে শ্রীলঙ্কার হাসারাঙ্গার সঙ্গে আছেন তাসকিন।
ঐ ম্যাচেই ২৪ রানে ২ উইকেট নিয়ে সাকিব চার ধাপ এগিয়েছেন। উঠে এসেছেন অষ্টম স্থানে। একই ম্যাচে অপরাজিত ৮৭ রান করা তামিমেরও ৪ ধাপ উন্নতি হয়েছে। ব্যাটসম্যানদের র্যাংকিংয়ে তিনি ২০ নম্বরে আছেন। এক ধাপ উন্নতি হওয়া লিটন দাস আছেন ৩০ নম্বরে। বাংলাদেশের হয়ে ব্যাটিংয়ে সেরা ১৭তম স্থানে আছেন মুশফিকুর রহিম।
যথারীতি বোলারদের শীর্ষে নিউজিল্যান্ডের ট্রেন্ট বোল্ট, ব্যাটিংয়েও শীর্ষস্থান ধরে রেখেছেন পাকিস্তানের বাবর আজম। অলরাউন্ডারদের তালিকায় বাংলাদেশের সাকিব শীর্ষে রয়েছেন।