সর্বেশেষ গত ডিসেম্বরে পাকিস্তানের বিপক্ষে একটি টেস্ট খেলেছিলেন সাকিব আল হাসান। এরপর নিউজিল্যান্ড সফর থেকে ছুটি নেন। অনেক নাটকীয়তার পর দক্ষিণ আফ্রিকা সফরেও যান। কিন্তু কেবল ওয়ানডে খেলেই পারিবারিক কারণে দেশে ফিরে আসেন। এবার সবার আশা ছিল, ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারকে পাওয়া যাবে!
এখন বাংলাদেশ দলের ভাগ্যকেই দোষ দিতে হবে। করোনা পজেটিভ হওয়ায় প্রথম টেস্ট থেকে ছিটকে গেছেন সাকিব। এর আগেও বিভিন্ন সময় তাকে টেস্টে পাওয়া যায়নি। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে, স্কোয়াডে নাম থাকলেও সাকিব খেলবেন কি না, সে ব্যাপারে কেউ নিশ্চয়তা দিতে পারে না। তাইতো ভাগ্যকে দোষ দিয়েছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনও। একই সঙ্গে তার কন্ঠে কিছুটা আক্ষেপও ঝড়েছে।
বুধবার (১১ মে) সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে নাজমুল হাসান পাপন বলেন, ‘আমাদের কপাল খারাপ, এছাড়া তো কিছু নেই। দোয়া করছি, দ্রুত সাকিব সুস্থ হয়ে যাক। আমার সঙ্গে কালকে (১০ মে) কথা হয়েছে ওর। বলেছে যে, ও এখন ভালো। ওর কোনো সমস্যা নেই এই মুহূর্তে। আমরা আবার করোনা টেস্ট করবো কয়েকদিন পর। আমরা চাচ্ছি দ্রুত সে ভালো হয়ে যাক।’
সাকিব না থাকা বাংলাদেশ দলের জন্য সবসময়ই বড় ধাক্কা। বিশেষ করে টেস্টে। এ বিষয়ে বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘ওর না থাকাতো অবশ্যই দলের জন্য একটি বড় ধাক্কা। এই কারণে যে, শ্রীলঙ্কা অত্যন্ত শক্তিশালী দল। অস্বীকার করার কোনো পথ নেই। এটা একটা বিরাট সুযোগ (শ্রীলঙ্কাকে হারানো) ছিল আমাদের এবং এখনো আছে।’
একেবারে হতাশও হতে চান না পাপন। সাকিবের বদলি একাদশে যিনিই সুযোগ পাবেন, তাকে নিয়ে আশাবাদী হতে চান। তিনি বলেন, ‘দেখা যাক, সাকিবের জায়গায় যে আসবে সে নিজেকে প্রমাণ করবে এটাই আমরা আশা করছি। আমাদের এখনো বেশকিছু অভিজ্ঞ খেলোয়াড় আছে। তারা যদি খেলতে পারে, তাহলে আমি মনে করি কোনো দলের সঙ্গে না জেতার কারণ নেই।’
এ সময় কিছুটা আক্ষেপও ঝড়েছে বিসিবি সভাপতির কন্ঠে। পাপন বলেন, ‘সমস্যা হচ্ছে, সাকিব না থাকাতে আমাদের এখন একটা ব্যাটার কম নিয়ে খেলতে হবে। অথবা একজন বোলার কম নিয়ে খেলতে হবে। এটা টেস্টের জন্য একটু সমস্যা। কিন্তু কিছু করার নেই। এখানে কিছু বলারও নেই। আমাদের কপাল খারাপ যে, আমরা ওকে পাচ্ছি না। যে সময়টায় সবচেয়ে বেশি দরকার হয়, ওই সময়টাই আমরা ওকে পাই না। আমরা এখন কেবল আশা করতে পারি, দ্রুত সুস্থ হোক এবং দলে ফিরে আসুক।’