২০০৮ সালের ১৮ এপ্রিল, প্রথমবারের মতো শুরু হয় ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের আসর। সেদিন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর হয়ে আইপিএলে অভিষেক হয় বিরাট কোহলির। টুর্নামেন্টের প্রথম আসর হওয়ায় সেদিন তার সঙ্গে বাকিরাও অভিষেক ম্যাচ খেলেন। তবে কেউই এখন দলে নেই। ১৩ বছর পরও বেঙ্গালুরুর হয়ে খেলছেন ভারতীয় অধিনায়ক। আইপিএলে কোহলির জন্য এই দিনটি যেমন বিশেষ, তেমনি ভুলে যাওয়ার মতোও।
আইপিএল ইতিহাসের প্রথম ম্যাচ। কলকাতা নাইট রাইডার্সের মুখোমুখি হয়েছিল কোহলিরা। সে ম্যাচে আগে ব্যাট করে বেঙ্গালুরুর ঘরের মাঠে রীতিমত ধ্বংসলীলা চালান ব্র্যান্ডেন ম্যাককালাম, মাত্র ৭৩ বলে ১৫৮ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন তিনি। যেখানে ১০টি চারের সঙ্গে ছক্কা হাকান ১৩টি। এতে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ২২২ রানের বিশাল সংগ্রহ পায় কলকাতা। জবাব দিতে নেমে মাত্র ৮২ রানে গুঁটিয়ে যায় বেঙ্গালুরু।
উদ্বোধনী ম্যাচেই ১৪০ রানের বিশাল হারের লজ্জা নিয়ে নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় কোহলিদের। সে ম্যাচে কোহলি নিজেও ব্যাট হাতে ব্যর্থ ছিলেন। মাত্র ১ রান করে আউট হন তিনি।
সময় গড়িয়েছে, দেখতে দেখতে কেটে গেছে ১৩ বছর। কোহলি নিজেও বেশ পরিণত হয়েছেন। সেদিনের ম্যাককালাম খেলা ছেড়ে কোচিংয়ে থিতু হয়েছেন। তবে কলকাতার দায়িত্বেই আছেন তিনি। ১৩ বছর আগের কোহলির সতীর্থরা কেউ দলে নেই বটে, কিন্তু ইতিহাস তো মুছে যায়নি। ১৩ বছর পর এসে আরেকটি ১৮ এপ্রিলে আবার মুখোমুখি কলকাতা-বেঙ্গালুরু। এই ম্যাচের আগে কোহলিকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স কর্তৃপক্ষ। মনে করিয়ে দিয়েছে তার অভিষেক ম্যাচের কথা।
স্বাভাবিকভাবে ২০০৮ সালের ১৮ এপ্রিলের সেই তাণ্ডব ভুলে যেতে চাইবেন কোহলি। আক্ষেপ ঘোচাতে আজ (রোববার) সাকিব আল হাসানদের বিপক্ষে বিশেষ কিছু করতে চাইবে তার দল। মুখোমুখি সাক্ষাতে অবশ্য খানিক পিছিয়ে আছে বেঙ্গালুরু। ২৬ দেখায় কলকাতার জয় যেখানে ১৪ম্যাচে, সেখানে কোহলিরা জিতেছে ১২টি।