হুট করেই আইপিএল ছাড়ার হিড়িক পড়েছিল ক্রিকেটারদের। বেশির ভাগই ছিলেন অস্ট্রেলিয়ান। অ্যাডাম জাম্পা-অ্যান্ড্র টাই-কেইন রিচার্ডসনরা তখন কারণ হিসেবে বলছিলেন ‘ব্যক্তিগত’। তবে কারণটা স্পষ্ট হয়েছে একদিন বাদেই। ভারতের সঙ্গে সব ধরনের ফ্লাইট বন্ধ করেছে অস্ট্রেলিয়া, এতে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে আইপিএলে থাকা দেশটির ৩০ নাগরিকের দেশে ফেরা নিয়ে।
আগামী ১৫ মে পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়া থেকে যেকোনো ধরনের ফ্লাইটের অবতরণ নিষিদ্ধ করেছে। সেখান থেকেও ভারতে আসবে না কোনো ফ্লাইট। ভারতের সঙ্গে ফ্লাইট বন্ধের ঘোষণা দিয়ে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন বলেন, ‘ভারতে বেশ বড় ধরনের সংক্রমণ হয়েছে বলে আমরা বিশ্বাস করি। জাতীয় সংসদে সর্বশেষ যেসব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, এর সঙ্গে আজ নতুন করে ১৫ মে পর্যন্ত ভারতের সঙ্গে সরাসরি ফ্লাইট স্থগিত করার ঘোষণা দিয়েছি।
তিন ক্রিকেটার দেশে ফিরে গেলেও এখনো ভারতে রয়ে গেছেন অস্ট্রেলিয়ার আরও ১৪ জন ক্রিকেটার। কোচ, ধারাভাষ্য ও বিশ্লেষক সবমিলিয়ে আছেন ৩০ জন।
এই অবস্থায় ওই সময় পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটারদের বাণিজ্যিক ফ্লাইটে দেশে ফেরা সম্ভব নয়। মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের ওপেনার ক্রিস লিন এখন আবেদন করেছেন, তাদের যাতে ভাড়া করা বিমানে করে হলেও দেশে ফিরিয়ে নেওয়া হয়। পেসার নাথান কোল্টার নাইল অবশ্য মনে করছেন, ভারতের জৈব সুরক্ষা বলয়েই সুরক্ষিত আছেন তিনি। তাই দেশে ফেরা নিয়ে তাড়া নেই তার।
এদিকে আইপিএলে থাকা অস্ট্রেলিয়ানদের সমালোচনা করে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া সরকারের প্রধান মার্ক ম্যাকগোয়ান বলেন, ‘আমরা বিশ্বজুড়ে ছড়ানো এক মহামারির মধ্যে আছি। ভারত এখন মৃত্যু ও ধ্বংসের কেন্দ্রবিন্দু। আমার তো মনে হয় না এখন ভারতে যাওয়ার কোনো কারণ থাকতে পারে। ভারত থেকে আসা মানুষের জন্য আমাদের কোয়ারেন্টিন–ব্যবস্থায় প্রচণ্ড চাপ যাচ্ছে। গত কয়েক মাসে মানুষ ওখানে কেন যাচ্ছে, সেটা ভেবেই অবাক লাগে। বিয়ের জন্য, শেষকৃত্যের জন্য কিংবা খেলার জন্য অথবা আরও যা যা কারণ পাচ্ছে। আমার মনে হয় না এর একটাও দরকারি।’
এদিকে আইপিএল থেকে কোনো ক্রিকেটার যদি ফিরতে না চান, তাহলে তাদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা না রাখার ইঙ্গিতও দেওয়া হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষ থেকে। এই অবস্থায় আইপিএলে থাকা ৩০ অস্ট্রেলিয়ান নাগরিকের দেশে ফেরা নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে।