টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে জায়গা হয়নি অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের। সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে রিয়াদকে বাদ দিয়েই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ভবিষ্যতের কথা ভেবে এবং টাইগারদের টেকনিক্যাল কনসালটেন্ট শ্রীধরন শ্রীরামের পরিকল্পনায় না থাকাতেই সেই দল থেকে বাদ পড়েছে রিয়াদ। এমনকি তাকে রাখা হয়নি স্ট্যান্ড বাই তালিকাতেও।
বুধবার দুপুরে মিরপুরের বিসিবি কার্যালয়ে আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করেন জাতীয় দলের নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু ও হাবিবুল বাশার সুমন। বিশ্বকাপের জন্য ঘোষিত ১৫ সদস্যের দলটিই নিউজিল্যান্ডের মাটিতে ত্রিদেশীয় সিরিজে অংশগ্রহণ করবে।
বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দলে রিয়াদ থাকবেন কিনা সেটি নিয়েই গত কয়েকদিন থেকে চলছিলো বিস্তর জল্পনা-কল্পনা। অবশেষে বিশ্বকাপ দল থেকে বাদই পড়লেন সাবেই এই টাইগার অধিনায়ক।
রিয়াদকে দলে না রাখা প্রসঙ্গে নান্নু বলেন, ‘মাহমুদুল্লাহ রিয়াদকে আমরা সম্মান করি। আমাদের জাতীয় দলের হয়ে অনেক ভালো ভালো খেলা উপহার দিয়েছেন। এবার আমাদের টি-টোয়েন্টির যে কনসালটেন্ট(শ্রীধরন শ্রীরাম), ওর একটা প্ল্যান আমাদের দিয়েছে এবং আগামী এক বছরের জন্য যে প্ল্যানটা নিয়ে আমরা এগোচ্ছি, এটার জন্য একটা আলাদা ডিরেকশন। ওই প্ল্যানের সঙ্গেই আমরা গিয়েছি। টিম ম্যানেজমেন্টের সবার সম্মতিক্রমে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে অফ করা হয়েছে।’
এদিকে রিয়াদের সাম্প্রতিক ফর্মহীনতার আর বয়স বিবেচনায় তাকে বাদ দেয়র গুঞ্জন শোনা গিয়েছিলো এশিয়া কাপের পর থেকেই। বিসিবি সপভাপতি থেকে শুরু করে টিম ম্যানেজমেন্টের অনেকেই রিয়াদকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে রাখতে চাননি। তবে অধিনায়ক সাকিব আল হাসান নাকি রিয়াদকে বিশাকপের দলে চেয়েছিলেন। এই ব্যাপারে নান্নু বলেন, ‘রিয়াদকে বাদ দেয়ার সিদ্ধান্ত এসেছে সর্বসম্মতিক্রমে। অধিনায়ক সাকিব আল হাসানও এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত। সবার সঙ্গে পরামর্শ করেই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে কেননা এশিয়া কাপ থেকেই তো সাকিব আল হাসান ক্যাপ্টেন। এটা তো আমাদের মধ্যেই আছে। টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে, সবার সম্মতিক্রমেই এই সিদ্ধান্তটা নেয়া হয়েছে।’
রিয়াদকে যদি বিশ্বকাপের দলে বা পরিকল্পনাতে না রাখা হয় তাহলে গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ক্যাম্পে তাকে কেনো ডাকা হলো এমন প্রশ্নের জবাবে নান্নু বলেন, ‘কিছু জায়গা আছে যেটা মানতেই হবে, একটা এক্সপেরিয়েন্সড প্লেয়ার যদি জুনিয়রদের সঙ্গে থাকে তবে জুনিয়ররা অনেক কিছু শিখতে পারে। সে আমাদের ফর্মার ক্যাপ্টেন এবং তার সঙ্গে শেয়ার করলে নতুন খেলোয়াড়দের অনেক কিছু শেখার আছে। সুতরাং, এখানে যখন সে প্র্যাকটিসে এসেছে, তখনও কিন্তু টিম নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। আমরা কিন্তু তখন বসা শুরু করেছি মাত্র। একটা এক্সপেরিয়েন্সড প্লেয়ারের সঙ্গে ড্রেসিংরুমে ইয়ং প্লেয়ার রাখলে, ওরা কাছে চলাফেরা, খেলাসহ অনেক কিছু শেয়ার করে শিখতে পারে।’