দক্ষিণ আফ্রিকার অ্যাশওয়েল প্রিন্সকে আর ব্যাটিং কোচের পদে রাখবে না বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড, এটা অনেকটাই নিশ্চিত ছিল। তার পরিবর্তে বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং পরামর্শক হিসেবে এরই মধ্যে ঢাকা পৌঁছে গেছেন জাতীয় দলের সাবেক অস্ট্রেলিয়ান কোচ জেমি সিডন্স।
এর আগে বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে জানা যায়, জাতীয় দলের ব্যাটিং কোচের পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন সাউথ আফ্রিকান কোচ অ্যাশওয়েল প্রিন্স। ২০২২ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত দায়িত্ব পালনের কথা থাকলেও আফগানিস্তান সিরিজের ঠিক আগ মুহূর্তে ব্যাটিং কোচের পদ থেকে পদত্যাগ করলেন তিনি। চলতি মাসের ১৮ তারিখ ছুটি কাটিয়ে দেশে ফেরার কথা ছিল প্রোটিয়া এই কোচের। কিন্তু ছুটি শেষ হওয়ার আগে বুধবার বোর্ডের কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন তিনি।
বেশ কিছুদিন ধরেই ক্রিকেটপাড়ায় কানাঘুষা চলছিল, আফগানিস্তান সিরিজের আগেই পদচ্যুত করা হতে পারে প্রিন্সকে। অজি কোচ জেমি সিডন্স জাতীয় দলের কোচিং প্যানেলে যোগ দেয়ায় সেই গুঞ্জন আরও প্রবল হয়।
২০০৭ বিশ্বকাপের পর দেশের ক্রিকেট নিয়ে স্বপ্ন যখন একটু একটু করে বড় হচ্ছিল, তখন জাতীয় দলের প্রধান কোচের দায়িত্ব ছেড়ে চলে যান অস্ট্রেলীয় ডেভ হোয়াইটমোর। তার বিদায়ের পর নতুন কোচের সন্ধানে নামে বিসিবি।
শেষপর্যন্ত আরেক অস্ট্রেলিয়ানের দ্বারস্থ হয়েছিল দেশের ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। তিনি ছিলেন জেমি সিডন্স, যার ছোঁয়ায় দলে এসেছিল ব্যাপক ইতিবাচক পরিবর্তন।
২০০৭ সালে বাংলাদেশের প্রধান কোচ হিসেবে নিয়োগ পান ৫৭ বছর বয়সী সিডন্স। ২০১১ ওয়ানডে বিশ্বকাপ পর্যন্ত বাংলাদেশের প্রধান কোচের দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। বাংলাদেশের ইতিহাসে অন্যতম সেরা কোচ হিসেবে দেখা হয় সিডন্সকে। তার অধীনে গড়ে ওঠা দলটি দেশের ক্রিকেটকে নিয়ে গেছে অনন্য উচ্চতায়।
সিডন্সের অধীনে বাংলাদেশ ১৯ টেস্টের মধ্যে জিতেছি দুটিতে। হার ১৬টি। ওয়ানডেতে ৮৪ ম্যাচে ৩১ জয়ের বিপরীতে পরাজয় ছিল ৫৩ ম্যাচে। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ৮ ম্যাচেই হার।