বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ফিল্ডিং সমস্যা চলে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। তবে গত কয়েকমাস যাবত প্রকট হয়ে দেখা দিয়েছে ফিল্ডিং ব্যর্থতা। শ্রীলঙ্কার মাটিতে টেস্ট সিরিজ, নিউজিল্যান্ড সফরে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি কিংবা ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুই টেস্টে গুনতে হয়েছে ক্যাচ মিসের মাশুল।
তাই এবার নতুন আরেক সিরিজ শুরুর আগে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্নের মুখে ফিল্ডিং প্রস্তুতি। ওয়ানডে দলের অধিনায়ক তামিম ইকবাল শুক্রবার কথা বলেছেন এ বিষয়ে, জানিয়েছেন ফিল্ডিং ব্যর্থতা কাটিয়ে উঠতে কঠোর পরিশ্রম করছে তার দল। পাশাপাশি এটিও স্বীকার করেছেন, ব্যাটিং-বোলিংয়ের চেয়ে ফিল্ডিংয়ের কারণেই বেশি ম্যাচ হারছেন তারা।
আজ ম্যাচের আগেরদিন অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেছেন দলের হেড কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো। তার কাছে প্রশ্ন রাখা হয়েছিল, ফিল্ডিংয়ে উন্নতির জন্য ভিন্ন কিছু করেছেন কি না তারা? উত্তরে ডোমিঙ্গো জানালেন, কোচ হিসেবে তার আলাদা কিছু করার নেই। বরং মাঠে আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর মন্ত্রে দলের ফিল্ডিং উন্নতির আশা ব্যক্ত করেছেন ডোমিঙ্গো।
টাইগারদের হেড কোচের মতে, ফিল্ডিং ব্যর্থতা নিয়ে যত আলোচনা হবে, বিষয়টি ততই কঠিন হবে। তাই তিনি আগের ভালো ফিল্ডিংয়ের কথা মনে করে সেখান থেকে ইতিবাচক দিক নিয়ে এগুতে চান। ডোমিঙ্গোর ভাষ্য, ‘দেখুন, আমার মনে হয় না, কোচ হিসেবে আলাদা কিছু করার আছে। ফিল্ডিং পুরোটাই আসলে আত্মবিশ্বাসের ওপর নির্ভর করে। আপনি এটা নিয়ে যত কথা বলবেন, ততই কঠিন হবে।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমরা আমাদের ভালো ফিল্ডিং পারফরম্যান্সের ম্যাচগুলো নিয়ে আলোচনা করতে পারি, সেসব থেকে ইতিবাচক দিকগুলো বের করতে পারি। আমরা আগেও অনেক ভালো ফিল্ডিং করেছি। কিন্তু সেগুলো ধারাবাহিকভাবে করতে হবে। আমাদের সেটাই চেষ্টা করতে হবে এবং ভুলগুলো নিয়ে বেশি আলোচনা করা যাবে না।’
নিজেদের সামর্থ্যের ওপর আস্থা রাখার দিকে বিশেষ জোর দিয়ে তিনি বলেন, ‘অনেক দলের দুর্দান্ত ফিল্ডার থাকে, অনেক দলের থাকে গড়পড়তা মানের। এখানে মূল বিষয়টা হলো, গুরুত্বপূর্ণ সময়ে সঠিক খেলোয়াড়ই যেন সঠিক জায়গায় থাকে। ফিল্ডিংয়ের জন্য আত্মবিশ্বাস অনেক বড় বিষয়। আমাদেরকে মানসিকভাবে ভালো জায়গায় থাকতে হবে এবং নিজের ওপর বিশ্বাস রাখতে হবে।’