কোপা আমেরিকা শুরু হতে আর এক সপ্তাহও বাকি নেই। এরই মধ্যে টুর্নামেন্টটি নিয়ে বারবার তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। আর সেগুলো কেটেও গেছে। কিন্তু এবার যে অনিশ্চয়তা তৈরি হলো, সেটার কারণে কোপা আমেরিকা আয়োজন ভেস্তেও যেতে পারে। কারণ, এবারের সিদ্ধান্ত নেয়ার ভার যে পুরোপুরি ব্রাজিল সুপ্রিম কোর্টের ওপর!
মূলত ব্রাজিলের আদালত তাদের দেশে কোপা আমেরিকা আয়োজনের বৈধতা যাছাই-বাছাই করতে মাঠে নেমে পড়েছে। নেইমারদের দেশের সর্বোচ্চ আদালতের বিচারকরা কোপা আয়োজনের বিরুদ্ধে এক হয়েছেন। তারা সর্বসম্মতভাবে ভয়ানক করোনা পরিস্থিতিতে নিজেদের দেশে কোপা আমেরিকার আয়োজনের বিরুদ্ধে একমত হয়েছেন।
ব্রাজিল থেকে কোপা আমেরিকা আয়োজন বাতিলের দাবি নিয়ে বিচারকদের পক্ষে রিট করেন দেশটির মন্ত্রী কারমেন লুসিয়া। ব্রাজিল সুপ্রিম কোর্টের প্রেসিডেন্ট লুইজ ফাক্স এই রিটটি গ্রহণ করেছেন। গ্লোবো ইস্পোর্ট-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, আবদেরন ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই এ নিয়ে শুনানি শুরু হবে। অর্থ্যাৎ, বৃহস্পতিবার শুনানি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
পুরো ফুটবল বিশ্ব এখন তাকিয়ে রয়েছে ব্রাজিল সুপ্রিম কোর্টের দিকে। তারা কী রায় দেয় সেটা দেখার জন্য। বিচারকদের বিপক্ষে রায় গেলে ব্রাজিলে কোপা আয়োজনে আর কোনো বাধা থাকবে না। রায় যদি বিচারকদের পক্ষে যায়, তাহলে ফের নতুন করে সমস্যা পড়বে ২০২১ কোপা আমেরিকার আয়োজন।
শুরুতে কোপা আমেরিকা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল আর্জেন্টিনা ও কলম্বিয়ায়; কিন্তু দুর্ভাগ্য তাদের। রাজনৈতিক কারণে প্রথমে কলম্বিয়া, পরে করোনার কারণে আর্জেন্টিনা থেকে আয়োজনের দায়িত্ব সরিয়ে নেয় লাতিন আমেরিকা ফুটবল কনফেডারেশন। শেষ পর্যন্ত কনমেবল সিদ্ধান্ত নেয় টুর্নামেন্ট ব্রাজিলে আয়োজন করার।
এ সিদ্ধান্তে ব্রাজিল ফুটবল কনফেডারেশন ইতিবাচক সাড়া দেয়। যার ফলে নেইমারদের দেশে শুরু হয় ২০২১ কোপা আমেরিকার প্রস্তুতি। যদিও ব্রাজিলিয়ান ফুটবলাররা এই আয়োজনের তীব্র বিরোধীতা করেছিল। যদিও তারা শেষ পর্যন্ত কোপায় খেলতে রাজি হয়; কিন্তু নতুন করে ব্রাজিলের সুপ্রিম কোর্ট বাধা হয়ে দাঁড়ানোয় দেখা দিলো নতুন বিপত্তি।
করোনার ভয়াবহ পরিস্থিতির কারণে ব্রাজিলের ওয়ার্কাস পার্টি এবং ব্রাজিলিয়ান সোশ্যালিস্ট পার্টি যে কোনোমূল্যে কোপা আমেরিকা আয়োজনের বিরোধীতা করে আসছে। তারা চায় না, এই পরিস্থিতিতে ব্রাজিলে কোপা আমেরিকা হোক।
করোনার কারণে এখনও পর্যন্ত ব্রাজিলে ৪ লাখ ৬৩ হাজার মানুষ মৃত্যুবরণ করেছে। আর প্রায় ১ কোটি ৬৫ লাখ মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। প্রতিদিনই মৃত্যুবরণ করছেন আড়াই থেকে তিন হাজার মানুষ।