গ্যালারিতে বসে গলা ফাটিয়ে ‘বাংলাদেশ, বাংলাদেশ’ বলে চিৎকার দিতেন। দেশে-বিদেশে যেখানেই বাংলাদেশের ক্রিকেট খেলা হতো সেখানেই তার উপস্থিতি ছিল অনিবার্য। বাংলাদেশের লাল-সবুজের পতাকা হাতে ডোরাকাটা বাঘ সেজে হাজির থাকতো। নিরন্তর উৎসাহ যোগাতো বাংলাদেশ দলকে। বাংলাদেশ ক্রিকেটের ভক্ত, এই ক্রিকেটপ্রেমী আর কেউ নন, তিনি হলেন ফাহিমুল হক মিলন। যিনি ‘টাইগার মিলন’ নামে ক্রিকেট ভক্তদের কাছে অতি পরিচিত।
টাইগার মিলন এখন গ্যালারিতে নেই, গুরুতর আহত হয়ে শুয়ে আছেন হাসপাতালের বেডে। সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে এখন চিকিৎসা নিচ্ছেন রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালে।
টাইগার মিলনের অসুস্থতার খবর পেয়ে আজ (৯ মে) তাকে দেখতে হাসপাতালে যান বাংলাদেশ পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির (পুনাক) সভানেত্রী জীশান মীর্জা। তিনি মিলনের জন্য হরেক রকমের ফল নিয়ে যান, ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে তার দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন। মিলনের চিকিৎসায় আর্থিক সহায়তাও প্রদান করেছেন তিনি। পুনাক সভানেত্রী মিলনের শয্যাপাশে কিছু সময় অবস্থান করেন এবং চিকিৎসার খোঁজ-খবর নেন।
টাইগার মিলন পুনাক সভানেত্রীর মহানুভবতায় মুগ্ধ হয়ে বাংলাদেশ পুলিশ এবং পুনাকের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা জানান।
পরে উপস্থিত সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে পুনাক সভানেত্রী বলেন, বাংলাদেশের যখন ক্রিকেট খেলা হয়, তখন আমরা টাইগার মিলনকে দেখেছি। যখন মাঠে এগারজন খেলেন, তখন টাইগার মিলন মাঠের বাইরে থেকে সবাইকে উৎসাহ যুগিয়ে থাকেন। বাংলাদেশ হারছে না জিতছে এটা কোন বিষয় নয় মিলনের কাছে; তিনি সবসময় বাংলাদেশকে উৎসাহ যুগিয়ে আসছেন।
পুনাক সভানেত্রী বলেন, পুনাক পুলিশ অফিসারদের স্পাউজদের একটি অরাজনৈতিক, অলাভজনক সামজিক সংগঠন। আমি সভানেত্রী হওয়ার পর চেষ্টা করছি গতানুগতিক ধারার বাইরে কিছু করার জন্য, সবার পাশে দাঁড়ানোর জন্য। আমাদের খুব সামান্য একটা প্রচেষ্টা আমরা টাইগার মিলনের পাশে দাঁড়িয়েছি।
এ সময় তিনি সড়ক দুর্ঘটনা সম্পর্কে সচেতন হওয়ার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান।
পুনাকের স্বাস্থ্য সম্পাদিকা ডা. প্রথমা রহমান এবং পঙ্গু হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
গত ১৩ মার্চ রাজধানীর বনশ্রী এলাকায় একটি ট্রাকের সাথে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় টাইগার মিলনের উভয় পায়ে গুরুতর জখম হয়। তার পায়ে একাধিকবার অস্ত্রপচার করা হয়েছে।