মিডফিল্ডার সালেম আল-ডওসারির জোড়া গোলে ব্রাজিলিয়ান ক্লাব ফ্লামেঙ্গোকে ৩-২ গোলে পরাজিত করে ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছে আল হিলাল ক্লাব। শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) ফাইনালে সৌদি ক্লাবটির প্রতিপক্ষ হবে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে খেলা রিয়াল মাদ্রিদ বনাম মিশরীয় আল আহলির মধ্যকার বিজয়ী দল।
মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) মরক্কোতে গ্র্যান্ড স্তাদে ডি টানগার স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত প্রথম সেমিফাইনালে চার মিনিটেই আল-ডওসারির গোলে এগিয়ে যায় আল হিলাল। ফ্লামেঙ্গো রাইট-ব্যাক মাথেউজিনহো ডি বক্সের মধ্যে লুসিয়ানো ভিয়েত্তোকে ফাউল করলে পেনাল্টি উপহার পায় আল হিলাল। ২০১৯ সালে ফ্লেমেঙ্গেরোর বিরুদ্ধে ক্লাব বিশ্বকাপে গোল করেছিলেন আল-ডওসারি। এর মাধ্যমে সৌদি আরবের এই অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার ক্লাব বিশ্বকাপের ইতিহাসে দুই আসরে একই প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে গোল করে ইতিহাস রচনা করেছেন। ২০ মিনিটে পেড্রোর সাইড-ফুটের শট আটকাতে পারেননি আল হিলালের ৩৬ বছর বয়সী গোলরক্ষক আব্দুল্লাহ আল মুয়াইয়োফ।
প্রথমার্ধের ইনজুরি টাইমের ৯ মিনিটে মার্সেইর সাবেক মিডফিল্ডার জারসন আবারো আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার ভিয়েত্তোকে ফাউল করলে দ্বিতীয় পেনাল্টি উপহার পায় আল হিলাল। এই ঘটনায় দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ত্যাগ করেন জারসন। এর আগে ১৫ মিনিটে তিনি প্রথম হলুদ কার্ড পেয়েছিলেন। ৭০ মিনিটে আল-ডওসারির দারুণ এক পাসে ভিয়েত্তো দলের হয়ে তৃতীয় গোলটি করলে আল হিলালের জয় সময়ের ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। স্টপেজ টাইমে পেড্রো আরও এক গোল করেও ফ্লামেঙ্গোকে রক্ষা করতে পারেননি। সৌদি আরবের প্রথম ক্লাব হিসেবে ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠলো আল হিলাল।
ব্রাজিলের চতুর্থ দল হিসেবে ক্লাব বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল হারলো ফ্লামেঙ্গো। ক্লাবটির কোচ পেরেইরা অবশ্য হারের জন্য বাজে রেফারিংকে দায়ী করে বলেন, ‘আমরা আল হিলালের সঙ্গে লড়তে প্রস্তুত ছিলাম। কিন্তু প্রতিযোগিতার মানের সঙ্গে যায় না, এমন রেফারিংয়ের জন্য আমরা প্রস্তুত ছিলাম না।’