ফুটবল বিশ্বকাপ এলেই বাংলাদেশের অলিগলিগুলো ছেয়ে যায় ভিনদেশি পতাকায়। তাতে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনারই আধিক্য থাকে বেশি। নিঃসন্দেহে গত পরশু ড্র অনুষ্ঠানে এই দুই দলের ওপরই চোখ ছিল বাংলাদেশের বেশির ভাগ ফুটবলপ্রেমির। যেই ফর্মে আছে দুই দল সেই বিচারে তুলনামূলক সহজ গ্রুপেই পড়েছে তারা। গ্রুপিং নিয়ে সন্তুষ্ট না হলেও, অভিযোগ নেই আর্জেন্টিনা কোচ লিওনেল স্কালোনির।
তবে ব্রাজিল কোচ তিতের খুশিটা অন্য কারণে। তাদের নাম পড়েছে জি গ্রুপে। তাতে বরং লাভই দেখছেন তিতে। কেননা অনুশীলনের জন্য বাড়তি সময় পেয়েছেন। তিনি বলেন, ‘অনুশীলনের জন্য খেলোয়াড়দের সঙ্গে যত সময় পাওয়া যাবে, ততই আমাদের জন্য সুবিধার।’
কাতার বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচের তিন দিন পর মাঠে নামবে ফেভারিট ব্রাজিল। ২৪ নভেম্বর পাঁচ বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের প্রতিপক্ষ সার্বিয়া। গ্রুপের অন্য দুই দল সুইজারল্যান্ড ও ক্যামেরুন। প্রতিপক্ষ নিয়ে চিন্তিত না হলেও তাদের খাটো করে দেখছেন না তিতে। ব্রাজিল কোচ বলেন, ‘সুইজারল্যান্ড ও সার্বিয়ার কাছে হেরেই কিন্তু প্লে অফে গিয়েছিল ইতালি ও পর্তুগাল। ক্যামেরুনও আফ্রিকার খুব শক্তিশালী দল। বিশ্বকাপের আট মাস আগে যা বলতে পারি তা হলো, আমাদের প্রস্ত্ততির জন্য প্রচুর সময় পড়ে আছে।’
সি গ্রুপে ব্রাজিলের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আর্জেন্টিনা প্রতিপক্ষ হিসেবে পেয়েছে মেক্সিকো, পোল্যান্ড ও সৌদি আরবকে। তিন দলকেই সম্মান করে স্কালোনি বলেন, ‘আমরা অভিযোগ করতে পারি না, আবার সন্তুষ্টও হতে পারি না। ঐতিহাসিকভাবে মেক্সিকো আমাদের জন্য কঠিন প্রতিপক্ষ। ২০০৬ সালে তারা আমাদের বিপক্ষে অসাধারণ খেলেছে এবং আমরা অতিরিক্ত সময়ে জিতেছিলাম। পোল্যান্ড ভালো খেলোয়াড়দের সমন্বয়ে ভালো একটি দল। সৌদি আরব শক্তিশালী না হলেও আমাদের বিপক্ষে তারা স্বাগতিক হিসেবে খেলবে। কারণ ৮০ হাজার ধারণক্ষমতা সম্পন্ন স্টেডিয়ামটি অ্যারাবিয়ানদের দিয়েই পরিপূর্ণ থাকবে।’
১৯৯০ বিশ্বকাপের পর থেকেই বিশ্বকাপে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা ম্যাচ দেখার প্রত্যাশায় আছে ফুটবলপ্রেমিরা। কাতারে অবশ্য কোয়ার্টার ফাইনালের আগে দেখা হওয়ার সুযোগ নেই।