জিততে হলে ইতিহাস গড়তে হতো। সেটাই করে দেখালো পাকিস্তান। আব্দুল্লাহ শফিকের ক্যারিয়ার সেরা অপরাজিত ১৬০ রানের ইনিংসের ওপর ভর করে শ্রীলঙ্কার দেওয়া ৩৪২ রানের লক্ষ্যমাত্রা সহজেই পাড়ি দিয়ে গল টেস্ট জিতে নিয়েছে সফরকারীরা। এর মধ্য দিয়ে এই মাঠে চতুর্থ ইনিংসে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের নতুন ইতিহাস রচিত করলো পাকিস্তান।
তারা যে জয় পেতে যাচ্ছে, সেটা চতুর্থ দিন শেষেই স্পষ্ট হয়ে যায়। হাতে ৭ উইকেট ও ১২০ রানে পিছিয়ে থেকে দিনের খেলা শেষ করেছিল পাকিস্তান। আব্দুল্লাহ শফিক ১১২ রানে অপরাজিত থাকেন। তবু একটা শঙ্কা ছিল। দারুণ বল করছিলেন লঙ্কান স্পিনার প্রবাত জয়াসুরিয়া। প্রথম ইনিংসে পাঁচ উইকেট শিকারের পর গতকালই দুই উইকেট তুলে নেন। আজ সেই শঙ্কা সত্যি হতেও পারতো। আরও দুই উইকেট শিকার করেন প্রবাত। তবে একপ্রান্ত আগলে রেখে কোনো বিপদ হতে দেননি শফিক। ম্যাচ জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন। শেষ পর্যন্ত ৪০৮ বল মোকাবিলা করে এক ছক্কা ও সাত চারে ১৬০ রানে অপরাজিত থাকেন এই ব্যাটার। ১৯ রানে অপরাজিত থাকেন মোহাম্মদ নেওয়াজ।
আর একটি মাত্র উইকেট শিকার করলেই টেস্ট ইতিহাসের একমাত্র বোলার হিসেবে ক্যারিয়ারের প্রথম দুই ম্যাচে চার বার পাঁচ উইকেট শিকারের বিরল কৃতীত্ব গড়তেন প্রবাত জয়াসুরিয়া। সেটা আর হলো না।
এর আগে ১২০ রানে পিছিয়ে থেকে আজ পঞ্চম দিন ব্যাটিংয়ে নামে পাকিস্তান। শফিকের সঙ্গী আগেরদিন ৭ রানে অপরাজিত থাকা মোহাম্মদ রিজওয়ান। দেখেশুনেই খেলতে থাকেন তারা, মনে হচ্ছিল প্রথম সেশনে উইকেটশূন্য থাকতে হবে শ্রীলঙ্কাকে। কিন্তু সেটি আর হয়নি। স্কোরবোর্ডে ৫৪ রান যোগ করতেই দলীয় ২৭৬ রানের সময় বিদায় নেন রিজওয়ান। আউট হওয়ার আগে করেন ৭৪ বলে ৪০ রান। তাকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন জয়াসুরিয়া। এরপর আগা সালমান ও হাসান আলি ক্রিজে আসলেও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। কিছু সময়ের জন্য পরাজয়ের শঙ্কাও জাগে। তবে আর কোনো বিপদ হতে দেননি শফিক ও নেওয়াজ।