তারুণ্যনির্ভর দল নিয়েও চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপিএল মিশন ভালোই চলছিল। পাঁচ ম্যাচে তিনটি জয় তাদের। সর্বশেষ ম্যাচটাও জিতেছিল তারা এবারের আসরের দলীয় সর্বোচ্চ রান (২০২) তুলে ও মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীর হ্যাট্রিকে।
সেই দলটাই গতকাল গৃহবিবাদে কেঁপে উঠল। মেহেদী হাসান মিরাজকে অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার ইস্যুতে গৃহদাহ চরমে উঠে যায়। মেহেদী হাসান মিরাজ বিকালে দল ছাড়ারও ঘোষণা দেন। সন্ধ্যার পর ২ ঘণ্টা এ অলরাউন্ডারকে নিয়ে মিটিং করেছিল দলটির ম্যানেজমেন্ট। সেখানেই ভুল বোঝাবুঝির অবসান হয়েছে। মিরাজও ঘোষণা দিয়েছেন, এখনই দল ছাড়ছে না। টুর্নামেন্টের বাকি ম্যাচগুলো চট্টগ্রামের হয়ে খেলবেন। তবে অধিনায়কত্ব করবেন না। গত শনিবার হুট করেই মিরাজকে অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেয় চট্টগ্রাম। বিদায়ি হেড কোচ পল নিক্সনের পরামর্শেই নাকি নাঈম ইসলামকে অধিনায়ক করা হয়েছিল। এমনটাই জানিয়েছিল দলটি। কিন্তু বাস্তবে ঘটেছিল অন্যকিছু। পল নিক্সন নাকি এমন পরামর্শই দেননি।
গতকাল স্ত্রী-সন্তানসহ টিম হোটেলের নিচেও নেমে আসেন তিনি। ঢাকায় ফেরার টিকিটও কেটে ফেলেছিলেন। সাংবাদিকদের বলেছেন, খোদ কোচ নিক্সনই তাকে জানিয়েছেন, নেতৃত্ব পরিবর্তনের পরামর্শ দেননি এ ইংলিশ কোচ।
তখনই দলটির সিইও ইয়াসির আলী চৌধুরীকে পুরো ঘটনার জন্য দায়ী করে মিরাজ বলেছিলেন, এই কর্মকর্তা থাকলে বিপিএলে চট্টগ্রামের হয়ে খেলবেন না তিনি। দলটি জাতীয় দলের ক্রিকেটারকে অপমান করেছেন বলেই মনে হয়েছে এ তরুণ ক্রিকেটারের।
তবে দল মালিকের সঙ্গে দীর্ঘ মিটিংয়ে সমস্যার সমাধান হয়। মিরাজ চট্টগ্রামেই থাকছেন বলে জানান। চট্টগ্রামের কর্তৃপক্ষও সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছে, মিরাজ-ইয়াসিরের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে।
মিটিং শেষে গতকাল মিরাজ বলেছেন, ‘ওনার (সিইও) রুমে নিয়ে দুই ঘণ্টার মতো কথা বলেছেন। বিষয়টি ঠিক হয়নি বলার পর তারা বলেছেন, এটা এক ধরনের ভুল বোঝাবুঝি। তারা বুঝতে পেরেছেন যে তাদের আমার সঙ্গে কথা বলা উচিত ছিল। কোচ চলে যাওয়ার পর তারা বুঝে উঠতে পারেননি কী করা উচিত ছিল। তাদের সঙ্গে আমি থেকে যাচ্ছি। দলের সঙ্গে থেকে যাচ্ছি। তবে আমাকে অধিনায়কত্ব দিলেও আর করব না।’