Image default
খেলা

গোল্ডেন বুটটা উঠে যেতে পারে রোনালদো হাতে

গ্রুপ পর্বে খেলেছেন গ্রুপ অব ডেথে। জার্মানি, ফ্রান্সের সঙ্গে। আরেক প্রতিপক্ষ ছিল হাঙ্গেরি। তবুও ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর পর্তুগাল তৃতীয় হয়ে উঠেছিল দ্বিতীয় রাউন্ডে। পরীক্ষা থেকে দুরে সরে যেতে পারেননি রোনালদোরা। কারণ, দ্বিতীয় রাউন্ডেও পর্তুগালের সামনে ছিল কঠিন প্রতিপক্ষ, বেলজিয়াম।

ফিফা র‌্যাংকিংয়ে এক নম্বরে থাকা বেলজিয়ামের কাছে বিদায় নিতে হয়েছে পর্তুগালকে। পুরো টুর্নামেন্টে পর্তুগাল খেলেছে মাত্র চারটি ম্যাচ; কিন্তু এই চার ম্যাচেই যে পারফরম্যান্স রোনালদো দেখিয়েছেন, তাতেই হয়তো গোল্ডেন বুটটা উঠে যেতে পারে তার হাতেই।

হাঙ্গেরির বিপক্ষে দুটি, ফ্রান্সের বিপক্ষে দুটি এবং জার্মানির বিপক্ষে গোল করেছেন একটি। গ্রুপ পর্বের তিন ম্যাচেই ৫ গোল করে ফেলেছিলেন সিআর সেভেন। দ্বিতীয় রাউন্ডে বেলজিয়ামের বিপক্ষে গোল পাননি। এই ৫টি গোল করেই এখনও শীর্ষে রয়েছেন পর্তুগিজ সুপারস্টার।

চেক রিপাবলিকের খেলোয়াড় প্যাট্টিক শিক-এর গোলও মোট ৫টি। তবে, রোনালদো তার চেয়ে এগিয়ে আছেন। কারণ, একটি গোলে অ্যাসিস্ট ছিল তার। জার্মানির বিপক্ষে দিয়েগো জোতার গোলে অ্যাসিস্ট করেন রোনালদো। কিন্তু কে রিপাবলিকের প্যাট্টিক শিকের নামের পাশে কোনো অ্যাসিস্ট নেই।

রোনালদা এবং শিক – দু’জনই এরই মধ্যে ইউরো থেকে ছিটবে পড়েছেন। সুতরাং, গোল সংখ্যায় কেউ কাউকে পিছিয়ে ফেলার সম্ভাবনা নেই। চারটি করে গোল রয়েছে বেলজিয়ামের রোমেলু লুকাকু, ফ্রান্সের করিম বেনজেমা এবং সুইডেনের এমিল ফরসবার্গের। কিন্তু এদের সবাই বিদায় নিয়েছেন ইউরো থেকে।

ইংল্যান্ডের রাহিম স্টার্লিং, হ্যারি কেইন করেছেন ৩টি করে গোল। ডেনমার্কের কেসপার ডলবার্গও তিনটি গোল করেছেন। এরা এখনও টুর্নামেন্টে টিকে আছেন। শেষ পর্যন্ত কতদুর যেতে পারেন, সেটাই দেখার বিষয়। কেউ যদি রোনালদোকে পেছনে ফেলদে পারে, তাহলে এই তিনজনের সামনেই সম্ভাবনা রয়েছে। এখন দেখার বিষয়, কী হয় শেষ পর্যন্ত।

চলতি ইউরোর ৫১টির মধ্যে ৪৮টি ম্যাচ খেলা হয়ে গেছে। বাকি রয়েছে দু’টি সেমিফাইনাল ও ফাইনাল ম্যাচ। কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত ইউরো ২০২০ অভিযানের যাবতীয় তথ্য-পরিসংখ্যানে চোখ রাখা যাক।

১. টুর্নামেন্টে মোট গোল হয়েছে ১৩৫টি।
২. ম্যাচ পিছু গড়ে গোল হয়েছে ২.৮২টি।
৩. গড়ে প্রতি ৩২ মিনিটে একটি করে গোল হয়েছে।

৪. ৪৬ থেকে ৬০ মিনিটের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ২৯টি গোল হয়েছে।
৫. সবচেয়ে বেশি ১২টি গোল করেছে স্পেন। ১১টি করে গোল করেছে ইতালি ও ডেনমার্ক।
৬. সবচেয়ে বেশি ৬৭.২ শতাংশ বল নিজেদের দখলে রেখেছে স্পেন।

৭. সবচেয়ে বেশি ৮৯.৪ শতাংশ নির্ভুল পাস খেলেছে স্পেন।
৮. সবচেয়ে বেশি ১০১ বার গোলের চেষ্টা করেছে ইতালি।
৯. সুইজারল্যান্ড সবচেয়ে বেশি ৮৪টি বৈধ ট্যাকল করেছে।

১০. ডেনমার্ক সবচেয়ে বেশি ২২৫ বার প্রতিপক্ষের পা থেকে বল ছিনিয়ে নিয়েছে।
১১. সবচেয়ে বেশি ২১টি গোল বাঁচিয়েছে সুইজারল্যান্ড।
১২. ইংল্যান্ড সবচেয়ে বেশি ৫টি ম্যাচে কোনও গোল হজম করেনি।

১৩. পর্তুগালের রোনালদো এবং চেক প্রজাতন্ত্রের প্যাট্টিক শিক সবচেয়ে বেশি ৫টি করে গোল করেছেন।
১৪. সবচেয়ে বেশি ৪টি গোলের পাস বাড়িয়েছেন সুইজারল্যান্ডের জুবের।
১৫. সবচেয়ে বেশি ৯ বার গোলে শট নিয়েছেন চেক প্রজাতন্ত্রের প্যাট্টিক।

১৬. সবচেয়ে বেশি ৯৯ শতাংশ নির্ভুল পাস বাড়িয়েছেন ইংল্যান্ডের জেমস।
১৭. সবচেয়ে বেশি ১৫টি বৈধ ট্যাকল করেছেন ইতালির ভেরাত্তি।
১৮. সবচেয়ে বেশি ৪৬ বার প্রতিপক্ষের পা থেকে বল ছিনিয়ে নিয়েছেন সুইজারল্যান্ডের আকাঞ্জি।

১৯. সবচেয়ে বেশি ২১টি গোল বাঁচিয়েছেন সুইজারল্যান্ডের সোমার।
২০. সবচেয়ে বেশি ৬১.৫ কিলোমিটার দৌড়েছেন স্পেনের পেদ্রি।

Related posts

প্লেঅফ সিরিজ কি নিক্সকে বিশেষ করে তোলে তার একটি নিখুঁত চিত্র

News Desk

How UCLA's Chase Griffin became 'the face of the athlete voice of NIL'

News Desk

মেটস পিচিং কর্মীদের ডিফেন্স এর চেয়ে ভালো হতে হবে

News Desk

Leave a Comment