আগামী মঙ্গলবার কিংস স্টেডিয়ামে ফিলিস্তিনের বিপক্ষে ফিরতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। ঘরের মাঠে জয় নিয়ে বললেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের ডিফেন্ডার টাবু বর্মণ। তিনি বলেন, লক্ষ্য ছিল ১-০ গোলে জয়। কুয়েত স্টেডিয়ামে ফিলিস্তিনের কাছে ৫-০ গোলে হেরে ঢাকায় ফিরেছে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। শুক্রবার সন্ধ্যায় ঢাকায় ফেরার পর গতকাল বিকেলে প্রশিক্ষণ শুরু করেন জামাল ভূঁইয়া, টাবু বর্মণ, মিতুল মারমা ও সোহেল রানারা। ঘরের মাঠের সুবিধাটা কাজে লাগাতে চান দলের সিনিয়র ফুটবলার টাবু বর্মণ।
৫-০ ব্যবধানে হারের কথা কল্পনাও করেননি তাবোরা। এখন যা হয়েছে তা নিয়ে আপনি ভাবতে চান না। ঘরের মাটিতে ঘরের মাঠে খেলা। তপু সব সুযোগ সুবিধা কাজে লাগাতে চায়। টাবো বলেন, “৫-০ ব্যবধানে হার আমাদের জন্য খুবই হতাশাজনক ছিল। আমি এখান থেকে বেরিয়ে আসতে চাই। আমাদের দেশের মানুষ এটা নিয়ে ভাবেনি।” ৪২ মিনিট পর্যন্ত ভালো খেলেও পরের গোলটি স্বীকার করে নেন।’ ট্যাবো বলেন, ‘হয়তো রক্ষণাত্মক দল নড়বড়ে ছিল। এটা আমাদের জন্য নেতিবাচক পয়েন্ট ছিল। আকস্মিক গোলের কারণে মনোবল কমে গেছে।’
এই একটি ম্যাচে বাংলাদেশ দল ১০ দিন সৌদি আরবে অবস্থান করে শর্তসাপেক্ষ ক্যাম্প করেছে। সৌদি আরব থেকে কুয়েতে খেলতে গিয়েছিল বাংলাদেশ। এত খরচ ও সুযোগ-সুবিধা দিয়ে দল গোছানোর পরও বাংলাদেশের অভাব কোথায় ছিল? স্ট্যামিনার অভাব ছিল না,” টাবু বলেন। আমরা সুযোগ তৈরি করেছি। আমার ফোকাস আরেকটু ভালো হলে হয়তো সেটা কাটিয়ে উঠতে পারতাম। হয়তো হারিয়ে গেছে। কিন্তু খুব বেশি গোল হতে পারেনি।
ফিলিস্তিনের আক্রমণে ছয়জন এবং বাংলাদেশের রক্ষণভাগে চারজন। টাবুকে কষ্ট লাগে। ডিফেন্ডারদের মধ্যে কোনো সমন্বয় ছিল না। টাবু এর জন্য দায়ী। ফিলিস্তিনের বিপক্ষে ফিলিস্তিনের হয়ে খেলেছেন জুনিয়র সুহেল রানা। লক্ষ্য মিস করেছে। সবচেয়ে সহজ সুযোগ হাতছাড়া করেন তিনি। গোল মিস হওয়ার কথা শোনেননি সোহেল রানার। অফের বাইরে মেরে রানিং বল মিস করেন সোহেল রানা। তারও একটা পয়েন্ট থাকতে পারে। কিন্তু কোচ জাভিয়ের ক্যাব্রেরার পরিবর্তে নন-প্লেয়িং প্লেয়ারকে মিডিয়ার সাথে কথা বলতে পাঠান। তার পরিবর্তে সিনিয়র সোহেল রানা ও টাবু বর্মণকে পাঠান তিনি।
রাজাদের দেশে প্রশিক্ষণ। ফুটবল বিশ্লেষকরা দায়ী করছেন রক্ষণভাগকে। সরাসরি উল্লেখ না করলেও দলের সিনিয়র ডিফেন্ডার তাবো বর্মণ তার রক্ষণকে দায়ী করেছেন। টাবু বর্মণ, বিশ্বনাথ ঘোষ, সাদুদ্দিন ও ইসা ফয়সাল ফিলিস্তিনি আক্রমণকারীদের ঠিকভাবে থামাতে পারেননি। কোচ জাভিয়ের ক্যাবরেরা বলছেন, ডিফেন্ডাররা ভালো খেলেছে। কেন 5 গোল হজম করা চিন্তার বিষয়। জাভিয়ের বলেছেন: “যে ভুলগুলি ম্যাচের এই ফলাফলের দিকে নিয়েছিল তা অবশ্যই সংশোধন করা উচিত।”
ম্যাচটি দেখছেন ফিলিস্তিনের ক্রীড়ামন্ত্রী
2026 বিশ্বকাপ এবং 2027 এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইপর্ব ঢাকায় 26 জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। ফিরতি ম্যাচে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও ফিলিস্তিন। ফিলিস্তিনের জাতীয় ফুটবল দল গতকাল সকালে ঢাকায় পৌঁছেছে। ফিলিস্তিনের ক্রীড়ামন্ত্রী দারজাল বাংলাদেশে এসেছেন।দলের একটি সূত্র জানিয়েছে, বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচ দেখতে এসেছেন তিনি। ফিলিস্তিনি ফুটবল দল গতকাল হোটেলে অবস্থান করে। হোটেলটি বিমানবন্দর সড়কের পাশে অবস্থিত। সেখান থেকে উত্তরা রাজ্যের পুলিশ স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ৫-০ গোলে জিতেছে ফিলিস্তিন জাতীয় ফুটবল দল।