বিপিএলের অষ্টম আসরের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের দল মিনিস্টার গ্রুপ ঢাকা। সে তুলনায় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের দলটা তারুণ্যে ঠাসা। মজার বিষয় হলো, বিপিএলে এবার দুবারই ঢাকার অভিজ্ঞতা মাড়িয়ে জয়ের আলোয় উদ্ভাসিত হয়েছে চট্টগ্রামের তারুণ্য। মিরপুরে গত ২২ জানুয়ারি মাহমুদউল্লাহ-মাশরাফিদের ঢাকাকে ৩০ রানে হারিয়েছিল মেহেদী হাসান মিরাজের নেতৃত্বাধীন চট্টগ্রাম।
দুই সপ্তাহের ব্যবধানে আবারও আফিফ-মৃত্যুঞ্জয়দের শিকার তামিম ইকবালরা। মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সিলেটে ফিরতি ম্যাচে ঢাকাকে তিন রানে পরাজিত করেছে চট্টগ্রাম। এই জয়ের ফলে প্লে-অফের দৌড়ে টিকে থাকলো দলটি। ৯ ম্যাচে তাদের সংগ্রহ আট পয়েন্ট। সমান ম্যাচে ঢাকার এটি চতুর্থ হার, তাদের ঝুলিতে সাত পয়েন্ট। প্লে-অফ খেলতে শেষ দুটি ম্যাচ জিততেই হবে ঢাকাকে।
আসর জুড়ে পরিবর্তনের মিছিলে চট্টগ্রামের দল নিয়ে সন্দেহের দানা বেঁধেছে অনেকের মনে। তাতে অবশ্য পরিবর্তন থেমে নেই। মঙ্গলবারও অধিনায়ক পরিবর্তন করেছে দলটি। ঢাকার বিপক্ষে নতুন অধিনায়ক হিসেবে টস করেন আফিফ হোসেন ধ্রুব। টুর্নামেন্টে চট্টগ্রামের তৃতীয় অধিনায়ক হলেন তিনি। এর আগে মেহেদী হাসান মিরাজ ও নাঈম ইসলাম চারটি করে ম্যাচে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। গতকাল নেতৃত্বের সঙ্গে একাদশেও জায়গা হারিয়েছেন নাঈম।
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে শামীম পাটোয়ারির হাফ সেঞ্চুরিতে ছয় উইকেটে ১৪৮ রান তুলেছিল চট্টগ্রাম। ৩৭ বলে ৫২ রানের (৫ চার, ১ ছয়) ইনিংস খেলেন শামীম। ম্যাচ সেরার পুরস্কারও পেয়েছেন এই তরুণ। উইল জ্যাকস ২৬, আফিফ ২৭ ও বেনি হাওয়েল অপরাজিত ২৪ রান করেন। ঢাকার পক্ষে মাশরাফি, অভিষিক্ত ফজল ফারুকী, আরাফাত সানি, এবাদত হোসেন, কায়েস আহমেদ ও মাহমুদউল্লাহ একটি করে উইকেট নেন।
পরে তামিমের হাফ সেঞ্চুরির পরও ছয় উইকেটে ১৪৫ রানের বেশি তুলতে পারেনি ঢাকা। একপ্রান্ত আগলে তামিম খেলেছেন পুরো ইনিংস। কিন্তু দলকে জেতাতে পারেননি। তামিম ও নাঈম শেখ উইকেটে থাকলেও ইনিংসের শেষ ওভারে ৯ রানের সমীকরণ মেলাতে ব্যর্থ ঢাকা। বাঁ-হাতি পেসার মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী দুর্দান্ত বোলিং করে মাত্র পাঁচ রান দিয়েছেন ২০তম ওভারে। ৫৬ বলে ৭৩ রান (ছয়-চার, তিন-ছয়) করে অপরাজিত ছিলেন তামিম। মাহমুদউল্লাহ ২৪, শুভাগত ২২ রান করেন। আট নম্বরে নেমে পাঁচ বলে দুই রান করে অপরাজিত ছিলেন নাঈম শেখ। চট্টগ্রামের পক্ষে মৃত্যুঞ্জয়, শরীফুল দুটি করে, নাসুম-মিরাজ একটি করে উইকেট নেন।