দায়িত্ব গ্রহণের মাত্র ১০ মাসের মধ্যে বায়ার্ন মিউনিখকে বদলে দিয়েছেন তিনি। ইউরোপ শ্রেষ্ঠত্বের পাশাপাশি একই মৌসুমে সব মিলিয়ে ছয়টি শিরোপা জয়ের ইতিহাস গড়েছে তার দল। ক্লাব বার্সেলোনার পর দ্বিতীয় ক্লাব হিসেবে বায়ার্নকে এই অর্জনের ভাগিদার করেন তিনি। বায়ার্নের সেই কারিগরের নাম ‘হ্যান্সি ফ্লিক’। চলতি মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে বিদায় নিলেও বুন্দেসলিগায় এখনো শীর্ষে তার দল। ঠিক এমন মুহূর্তে এসে বায়ার্ন ছাড়ার কথা জানিয়ে দিলেন ফ্লিক।
শনিবার রাতে ভলফসবুর্কের মাঠে লিগ ম্যাচে ৩-২ গোলে জিতেছে বায়ার্ন। টানা নবম শিরোপা জয়ের লক্ষ্যে থাকা বায়ার্নের ২৯ রাউন্ড শেষে ২১ জয় ও পাঁচ ড্রয়ে পয়েন্ট সংখ্যা ৬৮। তাদের থেকে ৭ পয়েন্টে পিছিয়ে দুইয়ে লাইপজিগ। এই ম্যাচের পরই নিজের ভবিষ্যৎ ভাবনা জানান ফ্লিক।
তিনি বলেন, ‘এ সপ্তাহে ক্লাব কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি যে মৌসুম শেষে আমি চুক্তির ইতি টানতে চাই। আজ দলকেও তাই বললাম। এখন আমাকে সবকিছু সহ্য করতে হবে। গত কয়েকটি সপ্তাহ সহজ ছিল না। এ কারণেই বিষয়টা ক্লাবকে এবং দলকে বলাটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল।’
২০১৯ সালের নভেম্বর বায়ার্নের অন্তর্বর্তীকালীন কোচ হিসেবে দায়িত্ব নেন ফ্লিক। পরের মাসেই তার সঙ্গে স্থায়ী চুক্তি করে কর্তৃপক্ষ। তারপর থেকেই দলকে দুর্দান্তভাবে গড়ে নিয়েছিলেন তিনি। ২০১৯-২০ মৌসুমে ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক মিলিয়ে ছয়টি শিরোপা উদযাপন করে তার দল। দলকে ইতিহাসের পাতা নিয়ে যাওয়া ফ্লিকের সঙ্গে ক্লাব কর্তাদের টানাপোড়েন নতুন নয়। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে এই টানাপোড়েন চলতে থাকায় বায়ার্ন ছাড়তে যাচ্ছেন তিনি।
এদিকে, আগামী জুন-জুলাইয়ের ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ পর্যন্ত জার্মানি জাতীয় দলের দায়িত্বে আছেন ইওয়াখিম লুভ। তার উত্তরসূরি হিসেবে ধারণা করা হচ্ছে ফ্লিককে। ২০১৪ সালে জার্মানির বিশ্বকাপ জয়ের মিশনে লুভের সহকারী থাকা ফ্লিক অবশ্য জানালেন, ভবিষ্যতের ব্যাপারে এখনো সিদ্ধান্ত নেননি তিনি।
ফ্লিক বলেন, ‘ভবিষ্যৎ আসলেই পরিষ্কার নয়। এ বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। অবশ্যই জার্মান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে কাজ করা একটা উপায়, যেটা সব কোচই ভাববে। তবে এই দায়িত্ব আরও স্বাধীন। এ সিদ্ধান্ত আমিই নিয়েছিলাম।’