বর্তমান বিশ্বে রোনাল্ড কোমানই বোধ হয় একমাত্র কোচ, চাকরি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই শুরু হয়ে গেছে তাঁর চাকরি যাওয়ার আলোচনা। বার্সেলোনা খারাপ খেললে তো বটেই, ভালো খেললেও কোমানহীন বার্সেলোনা নিয়ে আলোচনা কখনো থামে না। এমনকি দলটায় কিছুদিন আগে যখন সভাপতি নির্বাচন হলো, অধিকাংশ প্রার্থীই কোমান থাকার পরও নির্বাচনী ইশতেহারে আগামী মৌসুমে হয় জাভি হার্নান্দেজ কিংবা পেপ গার্দিওলাকে বার্সার কোচ করে আনার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন।
কোমানকে দুদণ্ড স্বস্তি দিয়ে বার্সেলোনার সভাপতি হয়েছেন হোয়ান লাপোর্তা, যিনি এসেই কোমানকে দল থেকে বিদায় করে দেওয়ার ব্যাপারে কোনো কথা বলেননি। বলেছিলেন, কোমান যদি মেসিদের নিয়ে ভালো কিছু করতে পারেন, তাহলে তাঁর চাকরি নিয়ে কোনো চিন্তা করতে হবে না। সম্প্রতি সে স্বস্তির কথাটাই আবার শোনা গেল কোমানের কণ্ঠে। বার্সেলোনার এই ডাচ্ কোচ জানিয়েছেন, নিজের চাকরি নিয়ে কোনো চিন্তা করছেন না।
গত রাতেই পয়েন্ট হারিয়েছে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদ। রিয়াল বেতিসের বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করে শিরোপার লড়াইয়ে পিছিয়ে পড়েছে তারা। আজ রাতে ভিয়ারিয়ালের বিপক্ষে তাই একটু নির্ভার হয়েই নামবে বার্সা। জিতলেই রিয়ালকে টপকে দ্বিতীয় স্থানে উঠে যাবেন মেসিরা। ওপরে তখন শুধুই আতলেতিকো মাদ্রিদ থাকবে। এই অবস্থায় কোমান নির্ভার থাকবেন না তো কে থাকবেন?
ভিয়ারিয়ালের বিপক্ষে ম্যাচের আগের সংবাদ সম্মেলনে নির্ভার কোমানকেই দেখা গেল। যিনি নিজের চাকরি নিয়ে কোনো চিন্তা করছেন না, ‘প্রথম দিন থেকেই আমাদের নতুন সভাপতি আমার ওপর আস্থা রেখেছেন, ভরসা দিয়েছেন। এখন রাতারাতি উল্টো কিছু না ঘটলে আমার ওপর তাঁর আস্থা থাকবে, এটা নিশ্চিত। তাই, আমি নিজেকে আগামী মৌসুমেও বার্সেলোনার কোচের পদে দেখছি, এটা বলা যায়।
শিরোপার জন্য যে তিন দল লড়াই করছে, সে তিন দলের শক্তিমত্তার মধ্যে তেমন কোনো পার্থক্য দেখছেন না কোমান, ‘আমার মনে হয় না তিন শিরোপাপ্রত্যাশীর মধ্যে কেউ কারও চেয়ে খুব বেশি শক্তিশালী। আতলেতিকো আর সেভিয়া অনেক ম্যাচ জিতছে। আমাদের একটাই সুবিধা, আমাদের হাতে একটা ম্যাচ আছে আতলেতিকোর বিপক্ষে। যে ম্যাচে আমরাও যেমন ওদের হারাতে পারি, ওরাও আমাদের হারাতে পারে। শেষ দিন পর্যন্ত এই শিরোপার জন্য লড়াই হবে।’
আর সেটা হলে সাধারণ ফুটবলপ্রেমীদেরই ভালো, তাদের জন্য অপেক্ষা করে আছে রোমাঞ্চে ঠাসা একটা মৌসুমের শেষটা।