সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইনআপের চিত্রটা যেন প্রায় একই রকম। ব্যাট হাতে প্রায় প্রতি ম্যাচেই ব্যর্থ হচ্ছেন ফখর জামান। অন্যদিকে, রানের বন্যা বইয়ে দিচ্ছেন ইমাম উল হক, অধিনায়ক বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ান। এর মধ্যে ইমাম ও রিজওয়ানের সঙ্গে অধিকাংশ ম্যাচেই শতরানের জুটি গড়ছেন বাবর। গতকালও তার ব্যতিক্রম ঘটলো না।
শুক্রবার (১০ জুন) মুলতানে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১২০ রানের বড় ব্যবধানে জয় পেয়েছে পাকিস্তান। এর মধ্য দিয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জিতে নিলো স্বাগতিকরা। এদিন, টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান।
মাত্র ১৭ রান করে বিদায় নেন ফখর জামান। এরপর সেই চিরচেনা দৃশ্য! ইমাম উল হকের সঙ্গে আবারও বড় জুটি গড়ে তুলেন বাবর আজম। তাদের জুটি থেকে ১২০ রান। রান আউটের ফাঁদে পড়ে আউট হওয়ার আগে ইমাম করেন ৭২ রান। এরপর বাবরও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ৭৭ রান করে আকিল হোসাইনের বলে কট এন্ড বোল্ড হয়েছেন পাক অধিনায়ক। আর মাত্র ২৩ রান করতে পারলেই ওয়ানডেতে টানা চার সেঞ্চুরির রেকর্ডে শ্রীলঙ্কার কুমারা সাঙ্গাকারাকে ছুতে পারতেন তিনি। সেটি আর হলো না। পরে আর কোনো বড় জুটি দাঁড়াতে পারেনি।
মোহাম্মদ রিজওয়ান ১৫, শাদাব খান ২২, খুশদিল শাহ ২২, মোহাম্মদ ওয়াসিম ১৭ ও শাহিন শাহ আফ্রিদি ১৫ রান করেন। এতে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৭৫ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর দাঁড় করাতে সক্ষম হয় পাকিস্তান। তবু, শঙ্কা জাগে এই রান আটকাতে পারবে তো তারা! কারণ, প্রথম ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৩০৫ রান করেছিল। তবে সব শঙ্কা দূর করে দেন মোহাম্মদ নওয়াজ। এই স্পিনার একাই ধসিয়ে দেন সফরকারীদের ব্যাটিং লাইনআপ। ১০ ওভার বল করে মাত্র ১৯ রান খরচায় ৪ উইকেট শিকার করেন। এছাড়া ওয়াসিম ৩টি, শাদাব খান ২টি ও শাহিন আফ্রিদি একটি উইকেট নেন।
ক্যারিবিয়ানদের পক্ষে কাইল মায়ার্স ৩৩, শামরাহ ব্রোকস ৪২, নিকোলাস পুরান ২৫ ও আকিল হোসাইন ১৪ রান করেন। মাত্র ৩২.২ ওভারে ১৫৫ রানেই অলআউট হয়ে যায় তারা। এর আগে দলটির বোলারদের মধ্যে আকিল হোসাইন ৩টি এবং আলজারি জোসেফ ও ফিলিপ নেন ২টি করে উইকেট।