চোখ থাকবে দল ছাপিয়ে ব্যক্তিগত লড়াইয়ে
খেলা

চোখ থাকবে দল ছাপিয়ে ব্যক্তিগত লড়াইয়ে

মেসি বনাম ফন ডাইক

২০১৯ সালে লিওনেল মেসি ও ভিরগিল ফন ডাইকের সেই লড়াইয়ের কথা মনে আছে নিশ্চয়। সেবার উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল মেসির বার্সেলোনা ও ফন ডাইকের লিভারপুল। দুই লেগের সেই দ্বৈরথে শেষ জয়টা হয়েছিল ফন ডাইকের লিভারপুলের। দুই লেগ মিলিয়ে ৪-৩ অগ্রগামিতায় ফাইনালে উঠে পড়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ফন ডাইকের লিভারপুল।



সময়ের চাকা ঘুরে আজ আবার এই দুজন একে অন্যের মুখোমুখি। তবে ক্লাব ফুটবলে নয়, দুজনের আজকের লড়াইটা জাতীয় দলের জার্সি গায়ে, বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে। মেসির আর্জেন্টিনা ও ফন ডাইকের নেদারল্যান্ডস মুখোমুখি হবে শেষ আটের যুদ্ধে। দলীয় এই যুদ্ধের মধ্যে মেসি ও ফন ডাইকের ব্যক্তিগত দ্বৈরথটাই বেশি রোমাঞ্চ ছড়াবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। দুজনেই নিজ নিজ দলের অধিনায়ক, বড় তারকাও। ফরোয়ার্ড হিসেবে ৩৫ বছর বয়সি মেসির কাজ গোল করা এবং সতীর্থদের করানো।

৩১ বছর বয়সি ফন ডাইকের কাজ প্রতিপক্ষের আক্রমণ রুখে দেওয়া। নিজ নিজ বিভাগে দুজনেই বর্তমানের অন্যতম বিশ্বসেরা। মেসি যেমন গোল করা ও করানোর কাজটা অনায়াসে করতে পারেন, তেমনি ফন ডাইকও প্রতিপক্ষের আক্রমণ রুখে দিতে সিদ্ধহস্ত। নিজেদের এই দক্ষতা সম্পর্কে তারা জানেনও। ডাচ বাধা পেরিয়ে দলকে সেমিফাইনালে তুলতে মেসি নিজের জাদু দেখিয়ে গোল করতে চাইবেন। রক্ষণের নেতা হিসেবে ফন ডাইক চাইবেন তাকে রুখে দিতে। ৫ ফুট ৭ ইঞ্চি উচ্চতার মেসির সঙ্গে ৬ ফুট ৫ ইঞ্চি উচ্চতার ফন ডাইকের লড়াই নিয়ে তা বাড়তি রোমাঞ্চ ছড়াচ্ছে। দুজনের লড়াইয়ে যারা জিতবেন, শেষ হাসিটাও হাসবেন তারাই।

জুলিয়ান আলভারেজ বনাম কডি গাকপো

দুজনেই বয়সে তরুণ। আর্জেন্টিনার জুলিয়ান আলভারেজের বয়স ২২, নেদারল্যান্ডসের কোডি গাকপোর বয়স ২৩। দুজনের মধ্যে সবচেয়ে মিল, দুজনেই উইঙ্গার, দুজনেরই কাজ গোল করা এবং করানো। আজও আর্জেন্টিনা ও নেদারল্যান্ডসের মধ্যকার কোয়ার্টার ফাইনালে তাদের কাজ হবে গোল করা এবং সতীর্থদের দিয়ে করানো। বয়সে তরুণ হলেও দুজনেই কাতারে বিশেষ চমক দেখিয়েছেন। অখ্যাত থেকে হয়েছেন বিখ্যাত। আজকের কোয়ার্টার ফাইনালেও দুজনের দিকে বিশেষ দৃষ্টি থাকবে।


ছবি: সংগৃহীত

একই কাজের দায়িত্ব কাঁধে বলে মাঠের দুই প্রান্তে দুজনের মধ্যে অদৃশ্য একটা লড়াইও থাকবে, গোল করার লড়াই। আলভারেজে আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের হয়ে ১৬ ম্যাচে করেছেন ৫ গোল, কোডি গাকপো ১৩ ম্যাচে করেছেন ৬ গোল। দুজনের মধ্যে কোডি গাকপো এগিয়ে কাতার বিশ্বকাপেও। তিনি এরই মধ্যে বিশ্বকাপে করেছেন ৩ গোল। এর চেয়েও বড় কথা, কাতার বিশ্বকাপে মাত্র দুজন খেলোয়াড় গ্রুপ পর্বে নিজেদের তিন ম্যাচেই গোল করতে সক্ষম হয়েছেন। তার একজন এই কোডি গাকপো।


ছবি: সংগৃহীত

অন্যজন স্পেনের আলভারো মোরাতা, যারা দ্বিতীয় রাউন্ড থেকেই বিদায় নিয়েছেন। অন্যদিকে আলভারেজ কাতারে গোল করেছেন দুটি। একটি গ্রুপ পর্বে পোল্যান্ডের বিপক্ষে, অন্যটি দ্বিতীয় রাউন্ডে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। এই তথ্যগুলোই বলছে, আলভারেজ-কোডি গাকপোর ব্যক্তিগত লড়াইটাও হবে আকর্ষণীয়।

Source link

Related posts

রুটকে সমর্থন করেন স্টোকস

News Desk

ভাইকিংস কর্নারব্যাক প্লেঅফের কাছাকাছি আসার সাথে সাথে আত্মবিশ্বাস প্রকাশ করে: ‘আমরা এই বছর বিশেষ কিছু করতে পারি’

News Desk

জাতীয় বনাম রেড সোক্স ভবিষ্যদ্বাণী: MLB মতভেদ, বাছাই, রবিবারের জন্য সেরা বাজি

News Desk

Leave a Comment