প্রথমে নেইমার এরপরই এমবাপে, তার সঙ্গে ছিলেন ডি মারিয়া, ইকার্দি, কাভানি- পিএসজির একটাই লক্ষ্য ইউরোপের শ্রেষ্ঠত্ব। অর্থাৎ উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়। এক মৌসুম আগে নেইমারদের হাত ধরে ফাইনালেও উঠে গিয়েছিল প্যারিসের ক্লাবটি। কিন্তু বায়ার্নের কাছে হেরে সেই স্বপ্ন আর পূরণ হলো না পিএসজির।
এবার আরও আটঘাট বেঁধেই মাঠে নেমেছে নেইমারদের ক্লাব। দলে নিয়ে এসেছে পৃথিবীর সেরা ফুটবলার লিওনেল মেসিকে। সঙ্গে আছেন রিয়াল মাদ্রিদের বিখ্যাত ডিফেন্ডার সার্জিও রামোস। পিএসজির এবারের লক্ষ যে করেই হোক চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়। লিওনেল মেসি চুক্তি স্বাক্ষরের পরই জানিয়ে দিয়েছেন, তারও স্বপ্ন প্যারিসের ক্লাবটির হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ জয় করা।
কিন্তু মেসি-নেইমারদের এই স্বপ্ন পূরণ হওয়া সম্ভবত এতো সহজ নয়। কারণ গ্রুপ পর্বেই তারা প্রতিপক্ষ হিসেবে পেয়ে গেছে ম্যানচেস্টার সিটির মতো শক্তিশালী ক্লাবকে।
তুরস্কের শহর ইস্তাম্বুলে আজ রাতে অনুষ্ঠিত হয়েছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ পর্বের ড্র। মোট ৩২টি দল আট গ্রুপে ভাগ হয়ে খেলবে গ্রুপ পর্ব। স্পেন থেকে এবার অংশ নিচ্ছে সর্বোচ্চ ৫টি দল। রিয়াল মাদ্রিদ, অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ, বার্সেলোনা, সেভিয়া ও ভিয়ারিয়াল।
গ্রুপ পর্বে সম্ভবত সবচেয়ে কঠিন পরীক্ষার মুখোমুখি হতে যাচ্ছে বার্সেলোনা। কারণ গ্রুপ পর্বেই তারা মুখোমুখি হচ্ছে বায়ার্ন মিউনিখের। ‘ই’ গ্রুপে তাদের অন্য দুই প্রতিপক্ষ বেনফিকা ও ডায়নামো কিয়েভের মতো শক্তিশালী দল। মেসিহীন বার্সা গ্রুপ পর্ব পার হতে পারে কি-না সেটাই দেখার বিষয়।
মেসি-নেইমারের পিএসজি খেলবে ‘এ’ গ্রুপে। ম্যানসিটি ছাড়া তাদের অন্য দুই প্রতিপক্ষ আরবি লেইপজিগ ও এফসি ক্লাব ব্রাগা।
জেনে নিন গ্রুপ পর্বে কে কার মুখোমুখি
‘এ’ গ্রুপ: পিএসজি, ম্যানসিটি, আরবি লেইপজিগ ও এফসি ক্লাব ব্রাগা।
‘বি’ গ্রুপ: অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ, পোর্তো, এসি মিলান ও লিভারপুল।
‘সি’ গ্রুপ: স্পোর্টিং সিপি, বরুসিয়া ডর্টমুন্ড, আয়াক্স ও বেসিক টাস।
‘ডি’ গ্রুপ: ইন্টার মিলান, রিয়াল মাদ্রিদ, সাখতার দোনেৎস্ক ও শেরিফ তিরাসফল।
‘ই’ গ্রুপ: বায়ার্ন মিউনিখ, বার্সেলোনা, বেনফিকা, ডায়নামো কিয়েভ।
‘এফ’ গ্রুপ: ভিয়ারিয়াল, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, আটলান্টা ও ইয়ং বয়েজ।
‘জি’ গ্রুপ: লিলে, সেভিয়া, আরবি স্লাজবার্ঘ ও উলফসবারগ।
‘এইচ’ গ্রুপ: চেলসি, জুভেন্টাস, জেনিত ও মালমো।