প্রথম দিন গতির ঝড়ে ক্যারিবীয়দের উড়িয়েছেন লুঙ্গি এনগিডি ও এনরিচ নর্টজে। আর দ্বিতীয় দিন ছক্কায় ভাসালেন কুইন্টন ডি কক। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের প্রথম টেস্টের নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরি নিজেদের হাতে রেখেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ন্যুনতম প্রতিদ্বন্দ্বিতাও করতে পারছে না স্বাগতিকরা।
সেইন্ট লুসিয়া টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ১৪৩ রানে পিছিয়ে রয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। হাতে রয়েছে আর ৬টি উইকেট। প্রথম ইনিংসে মাত্র ৯৭ রানে অলআউট হয়েছিল তারা। জবাবে ডি ককের ছক্কার রেকর্ড গড়া ইনিংসে ৩২২ রান করে প্রোটিয়ারা।
দ্বিতীয় ইনিংসে ২২৫ রানে পিছিয়ে থেকে খেলতে নেমে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ হওয়া পর্যন্ত ৪ উইকেট হারিয়ে ৮২ রান করতে পেরেছে ক্যারিবীয়রা। মাত্র ৫১ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল তারা। দিনের শেষ ভাগে আর বিপদ ঘটতে দেননি রস্টোন চেজ ও জার্মেইন ব্ল্যাকউড।
ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৯৭ রানে অলআউটের পর প্রথম দিন ৪৩ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১২৮ রান করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। ছয় নম্বরে নামা ডি কক অপরাজিত ছিলেন ৪ রানে। দ্বিতীয় দিন তাকে আর আউটই করতে পারেনি ক্যারিবীয়রা। দলীয় ১৬২ রানের মাথায় ৪৬ রান করে পঞ্চম ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন রসি ফন ডার ডুসন।
পঞ্চম উইকেট পতনের সময় ২৬ রানে অপরাজিত ছিলেন ডি কক। পরে শেষের পাঁচ উইকেটে আরও ১৫০ রান যোগ করে দক্ষিণ আফ্রিকা। যেখানে ডি ককের একার অবদান ১১৫ রান। ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ সেঞ্চুরিতে ১৪১ রান করে অপরাজিত ছিলেন তিনি। আউট হয়ে গেছেন অন্য পাশের সব ব্যাটসম্যান।
প্রায় সোয়া চার ঘণ্টা খেলে করা এই সেঞ্চুরির পথে ১৭০ বল মোকাবিলা করেছেন ডি কক। যেখানে ছিল ১২টি চার ও ৭টি ছয়ের মার। দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে এক ইনিংস সর্বোচ্চ ছয়ের রেকর্ড এটি। ২০০৯ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এক ইনিংসে সমান ৭টি ছক্কাই হাঁকিয়েছিলেন এবি ডি ভিলিয়ার্স।
ডি ককের এই রেকর্ডগড়া সেঞ্চুরিতে প্রোটিয়ারা পায় ২২৫ রানের লিড। এর জবাবে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় ইনিংসেও বেহাল দশা হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজের। আগের ইনিংসে ফাইফার নেয়া লুঙ্গি দ্বিতীয় ইনিংসে উইকেট পাননি। তবে নর্টজে ও কাগিসো রাবাদা ভাগাভাগি করে নিয়েছেন ২টি করে উইকেট। যার ফলে ম্যাচ হারের শঙ্কায় পড়ে গেছে স্বাগতিকরা।