লিওনেল মেসি বার্সেলোনা ছেড়ে প্যারিসে চলে গেছেন, তাও প্রায় দশ দিনের মতো হতে চললো। কিন্তু দুই দশকের নিত্যদিনের অভ্যাস বার্সেলোনাকে কি আর এত সহজে ভুলে যাওয়া চলে? ‘ছুটি’ পেয়েই তাই আর্জেন্টাইন তারকা ছুটলেন কাতালুনিয়ায়, কাস্তেইদেফেলসে নিজের ডেরায়।
পিএসজিতে পাড়ি জমালেও সেখানে এখনো থিতু হতে পারেননি মেসি। প্যারিসে এখনো থাকছেন হোটেলে। বাসা খুঁজে বের করার দায়িত্ব দেওয়া হলেও মেসি ও তার পরিবারের চাহিদামতো বাড়ি মেলেনি এখনো। ফলে প্যারিসে ঘরে থাকার অনুভূতি এখনো পাননি আর্জেন্টাইন অধিনায়ক।
এদিকে মেসিকে নিয়ে পিএসজি কোচ মরিসিও পচেত্তিনো কোনো প্রকার তাড়াহুড়ো করতে রাজি নন। সেজন্যেই তাকে শুক্রবার রাতে ব্রেস্তের বিপক্ষেও রাখেননি স্কোয়াডে। তবে পিএসজির অনুশীলনে মেসি যেভাবে নিজেকে উজাড় করে দিচ্ছেন, তাতে খুশি দলের সবাই, জানিয়েছিলেন কোচ পচেত্তিনো। বলেছিলেন, ‘সে দলকে কী দিতে পারে, সবাই জানে। আমরা জানি লিও কীসের প্রতিনিধিত্ব করতে পারে, সে বেশ ইতিবাচকও। সে এই দলের সঙ্গে দ্রুত মানিয়েও নিচ্ছে বেশ। দলে তার অবদানে আমরা বেশ খুশি।’
ব্রেস্তের বিপক্ষে মেসি স্কোয়াডে না থাকার ফলে পিএসজি অভিষেক পিছিয়ে গেছে অন্তত এক সপ্তাহ। ছোটোখাটো একটা ছুটি পেয়েই তাই দেরি করেননি মেসি। চলে এসেছেন বার্সেলোনায়। স্প্যানিশ সংবাদ মাধ্যম মুন্দো দেপোর্তিভোর প্রকাশ করা এক ছবিতে দেখা যায়, কাতালুনিয়ায় পা রেখেছেন তিনি।
কাস্তেইদেফেলসে নিজের বাড়িতে অবধারিতভাবেই গেছেন মেসি। গুঞ্জন আছে নেইমারও যোগ দিয়েছেন মেসির দলে, হাজির হয়েছেন বার্সেলোনায়। যদিও নেইমারের বার্সেলোনায় পা রাখার পর কোনো ছবিই প্রকাশ পায়নি ইউরোপীয় কোনো সংবাদ মাধ্যমে।
আরও গুঞ্জন, মেসি ও নেইমার, দুজন মিলে দেখা করেছেন আরেক বন্ধু লুই সুয়ারেজের সঙ্গে, যিনি বর্তমানে খেলছেন অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের হয়ে। এই ত্রয়ীর বন্ধুত্বের শুরু বার্সেলোনায়। ২০১৪ সালে যখন সুয়ারেজ লিভারপুল থেকে যোগ দিয়েছিলেন বার্সেলোনায়। এরপর থেকে কাতালান দলটির হয়ে তিনজন মিলে জিতেছেন একটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, দুটো লা লিগা আর তিনটি কোপা দেল রে শিরোপা।