এশিয়ান হকি ফেডারেশনের টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হবে ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায়। ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে ক্যাম্প ডাকা হয়েছে। পরিষ্কার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে, কোনো খেলোয়াড় যদি করোনার টিকা না নিয়ে থাকেন তাহলে বিকেএসপির ক্যাম্পে প্রবেশ করতে পারবেন না। ইন্দোনেশিয়ায় গিয়ে প্রথম তিন দিন কোয়ারেন্টাইন করতে হবে। টুর্নামেন্ট শেষ হওয়া পর্যন্ত বায়োবালে থাকতে হবে। টুর্নামেন্ট চলাকালে মাঠ আর হোটেলের বাইরে কোথাও যাবে না।
গত ডিসেম্বরে ঢাকায় এশিয়ান হকি চ্যাম্পিয়নশিপ হওয়ার পর আন্তর্জাতিক খেলাও ছিল না। ঘরোয়া কোনো খেলাও হয়নি। এখন জাতীয় দলের অনুশীলন ক্যাম্প ডাকা হয়েছে। ইন্দোনেশিয়ায় এএইচএফ কাপ হকি হবে। সেখানে বাংলাদেশ অংশগ্রহণ করবে। খেলা হবে ১১ থেকে ১৮ মার্চ। কয়টি দল অংশগ্রহণ করবে সেটি বলতে পারেননি বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইউসুফ। তিনি গতকাল বললেন, ‘আট-দশটি দল খেলবে। সেটি দ্রুতই আমরা জানতে পারব। এশিয়ান হকি ফেডারেশন জানাবে।’
এএইচএফ কাপের মূল টার্গেট হচ্ছে এখান থেকে আগামী এশিয়া কাপ হকির বাছাই হবে। বাছাই থেকে তিনটি দল চূড়ান্ত পর্বে খেলার সুযোগ পাবে বলে জানিয়েছেন মোহাম্মদ ইউসুফ। তিনি বলেন, ‘২০২২ সালে মে কিংবা জুনে এশিয়া কাপ হওয়ার কথা রয়েছে। ওমানে এশিয়া কাপ হওয়ার কথা থাকলেও সেটি হবে না বলে মনে করছেন ইউসুফ। বাংলাদেশে এশিয়া কাপ হকি হতে পারে কি না তা এখনো নিশ্চিত না। তিনি বলেন, মৌখিকভাবে একবার বলা হলেও আনুষ্ঠানিকভাবে বলা হয়নি। ইন্দোনেশিয়া সফরে স্পন্সর জোগাড় হয়েছে। সাধারণ সম্পাদক জানালেন, দি ঢাকা মার্কেন্টাইল ব্যাক ৫০ লাখ টাকা দিচ্ছে। গতকাল বিকালে ২৮ জন হকি খেলোয়াড়ের নাম ঘোষণা করেছে হকি ফেডারেশন। এর মধ্যে সবাই চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ক্যাম্পেই ছিলেন। দলে নতুন নেওয়া হয়েছে বিকেএসপির খেলোয়াড়। লিগে আবাহনীর জার্সি গায়ে খেলেছেন নুরুজ্জামান নয়ন। বাদবাকি খেলোয়াড়দের মধ্যে ২৮ জনকে প্রাথমিক ক্যাম্পে ডাকা হয়েছে।
এএইচএফ কাপের প্রাথমিক দল :
গোলকিপার :বিপ্লব খুজুর, আবু সাঈদ নিপ্পন, অসীম গোপ, নুরুজ্জামান নয়ন। রক্ষণভাগে খোরশেদুর রহমান, ফরহাদ আহমেদ শিতুল, আশরাফুল ইসলাম, সোহানুর রহমান সবুজ, মেহেদী হাসান, রেজাউল করিম বাবু, শফিউল আলম শিশির, সারোয়ার মোরশেদ শাওন, খালেদ মাহমুদ রাকিন। মধ্যমাঠে সারোয়ার হোসেন, রোমান সরকার, নাঈম উদ্দিন, ফজলে হোসেন রাব্বি, প্রিন্স লাল সামন্ত, রাজু আহমেদ তপু, আবেদ উদ্দিন। আক্রমণভাগে রাসেল মাহমুদ জিমি, মিলন হোসেন, পুস্কার খিসা মিমো, আরশাদ হোসেন, দীন ইসলাম ইমন, রাকিবুল হাসান রবি (জুনিয়র), মাহবুব হোসেন এবং রাজীব দাস।