২০১৪ বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর সেভাবে আর নিজেদের মেলে ধরতে পারেনি জার্মানি। ২০১৮ বিশ্বকাপে তো প্রথম ম্যাচ হেরেই ছিটকে গেছে গ্রুপ পর্বে। যা তাদের বিগত ৮০ বছরের ইতিহাসে ঘটেনি! গ্রুপ ‘ই’ তে বুধবার সন্ধ্যা ৭টায় চারবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা আজ বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো মুখোমুখি এশিয়ান জায়ান্ট জাপানের।
কাতারে শুরুর ম্যাচের এই প্রতিপক্ষ নিয়েও জার্মানি খুব বেশি নির্বিঘ্ন থাকতে পারছে না। জাপানের এই দলটার ৮জন জার্মান ঘরোয়া লিগে খেলেন। তার মধ্যে ৭ জনই খেলেন বুন্দেসলিগায়। যেখানে মিডফিল্ডার হিসেবে খ্যাতি আছে ওয়াতারু এন্দোর। এমন দলের বিপক্ষে চ্যালেঞ্জটা স্বীকার করছেন জার্মান কোচ হানসি ফ্লিক, ‘আমাকে বলতে পারেন জাপানি ফুটবলের ভক্ত। ওরা দুর্দান্ত খেলছে। বিশেষ করে ফ্রাঙ্কফুর্টের কামাদা অসাধারণ মৌসুম কাটাচ্ছেন। স্টুটগার্টের এন্দো তো বুন্দেসলিগার অন্যতম সেরা মিডফিল্ডার। বলা যায় বড় পরীক্ষা সামনে। আমরা সেভাবেই মুখিয়ে আছি।’
জার্মানির বায়ার্ন মিউনিখ মিডফিল্ডার জশুয়া কিমিচ তুলে আনলেন ইউরোর অভিজ্ঞতা। সেখানেও প্রথম ম্যাচ হেরেছিল জার্মানি। পার হতে পারেনি শেষ ষোলোও। তাই ভাগ্য বদলাতে প্রথম ম্যাচের গুরুত্ব দেখছেন তিনি, ‘প্রথম ম্যাচ আমাদের কাছে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। ইউরোতে গতবার প্রথম ম্যাচ হেরেছি। তার পর তো টু্র্নামেন্টই জেতা হয়নি। আশা করছি, এই ম্যাচ আমরাই জিতবো।’
একই গ্রুপে আবার জার্মানির প্রতিপক্ষ হিসেবে আছে স্পেন, কোস্টারিকা। এই দুটি দলও একই দিনে মাঠে নামছে। ম্যাচ রাত ১০টায়। তাদের লড়াইকে বলা হচ্ছে ব্যাটল অব জেনারেশনস বা দুই প্রজন্মের লড়াই। আসলেই তো তাই। টুর্নামেন্টের তৃতীয় সর্বকনিষ্ঠ দল স্পেনের। ২০১০ বিশ্বকাপ জেতা দল থেকে সের্হিও বুৎকেজই শুধু খেলছেন। এনরিকের দলে থাকা ১৪জনের বয়স ২৫ বা তার কম। কোস্টারিকার অবস্থা ঠিক তার বিপরীত। ষষ্ঠ বিশ্বকাপ খেলতে আসা দলটার ৬ সদস্য ২০১৪ বিশ্বকাপেও খেলেছেন।
স্পেন কোচ এনরিকে অবশ্য তরুণদের ওপরই আস্থা রাখছেন, ‘এটা ইতিবাচক ভাবে দেখতে হবে। কারণ তারুণ্যই দলে শক্তি আনে। এখন স্টাফদের যে অভিজ্ঞতা আছে সেটার সমন্বয় ঘটিয়ে আমরা তা কাজে লাগাবো।’
স্পেনের হয়ে কথা বলছে পরিসংখ্যানও। দুই দল তিন ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে। দুটিতেই জিতেছে স্পেন। একটি ম্যাচ ড্র হয়েছে।