হারলে বিদায়, জিতলেও নিশ্চিত হবে না ফাইনালের টিকিট- এমন গুরুত্বপূর্ণ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে কি না টেস্ট ঘরানার ব্যাটিং করলেন করাচি কিংসের অধিনায়ক বাবর আজম। বিপরীতে ঝড় তুললেন প্রতিপক্ষ ওপেনার হযরতউল্লাহ জাজাই। ফল যা হওয়ার হলো তা-ই। জাজাই ঝড়ে উড়েই গেল বাবরের করাচি।
সোমবার রাতে পাকিস্তান সুপার লিগের প্রথম এলিমিনেটর ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল করাচি কিংস ও পেশোয়ার জালমি। এই ম্যাচের জয়ী দল পাবে দ্বিতীয় এলিমিনেটর ম্যাচে খেলার সুযোগ। যা জিতলে পরে আসবে ফাইনালের টিকিট। তাই জয়ের বিকল্প ছিল না কোনো দলের সামনেই।
এমন ম্যাচেই মাত্রাতিরিক্ত ধীর ব্যাটিং করেন বাবর। তবু শেষ দিকে থিসারা পেরেরার ঝড়ে ১৭৫ রানের বড় সংগ্রহই দাঁড় করায় করাচি। কিন্তু পেশোয়ারের পক্ষে তাণ্ডব চালান আফগান ওপেনার জাজাই। যার সুবাদে ৫ উইকেট হারিয়ে ১ বল আগেই ম্যাচ জিতে নিয়েছে পেশোয়ার, পেয়েছে দ্বিতীয় এলিমিনেটরের টিকিট।
করাচির করা ১৭৫ রানের জবাবে খেলতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে মাত্র ৪.৪ ওভারে ৪৯ রান যোগ করে পেশোয়ার। কামরান আকমল সাজঘরে ফেরেন ১২ বলে ১৩ রান করে। অপরপ্রান্ত হাত খুলে খেলতে থাকেন জাজাই। তার ঝড়ো ব্যাটিংয়ের সুবাদে শুরু থেকেই জয়ের পথে থাকে পেশোয়ার।
এক ম্যাচ আগেই ৬৩ রানের টর্নেডো ইনিংস খেলা জাজাই এবার করেছেন ৭৭ রান। মাত্র ৩৮ বলের ইনিংসে ১০ চারের সঙ্গে ৫টি বিশাল ছক্কা হাঁকান তিনি। ইনিংসের ১২তম ওভারে জাজাই ফিরে যাওয়ার পর বাকি কাজটা সারেন শোয়েব মালিক (৩০), শেরফান রাদারফোর্ডরা (১৭*)।
এর আগে করাচির পক্ষে ৪৫ বল খেলে ৫৩ রানের বেশি করতে পারেননি বাবর। তিনি সাজঘরে ফেরেন ১৫তম ওভারে। বাবরের বিদায়ের পর বাকি ৩৩ বলে ৭৪ রান তোলে করাচি। যেখানে বড় অবদান থিসারার। তিনি খেলেন ১৮ বলে ৩৭ রানের ইনিংস। কিন্তু এটিও জয়ের জন্য যথেষ্ঠ ছিল না।
এ জয়ের সুবাদে দ্বিতীয় এলিমিনেটর খেলার সুযোগ পাচ্ছে পেশোয়ার। মঙ্গলবার রাতে ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে তাদের প্রতিপক্ষ ইসলামাবাদ ইউনাইটেড। কোয়ালিফায়ার ম্যাচে মুলতান সুলতানসের কাছে হেরে এলিমিনেটরে এসেছে ইসলামাবাদ।